Advertisement
২৬ অক্টোবর ২০২৪
TMC

‘ওয়ার্ক ফ্রম হোম’ করছেন গড়িয়ার তৃণমূল পুরপিতা! কার্যালয়ে ঢুকে মারধরের ঘটনায় এখনও ‘আতঙ্কে’

শনিবার গড়িয়া স্টেশন সংলগ্ন তৃণমূলে কার্যালয়ে হামলা হয়। সেখানে বসতেন কাউন্সিলর পিন্টু দেবনাথ। হামলায় জখম হন তিন জন। তাঁদের চিকিৎসা চলছে বাইপাসের ধারে একটি বেসরকারি হাসপাতালে।

Pintu

তৃণমূল কাউন্সিলর পিন্টু দেবনাথ। —নিজস্ব চিত্র।

আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা
সোনারপুর শেষ আপডেট: ২৩ জুন ২০২৪ ১৭:২১
Share: Save:

অভিযুক্তেরা গ্রেফতার হয়েছেন। দলের তরফে অভ্যন্তরীণ ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। কিন্তু আতঙ্ক গ্রাস করেছে তৃণমূল কাউন্সিলর পিন্টু দেবনাথকে। রাজপুর-সোনারপুর পুরসভার এক নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর এখনই বাড়ি থেকে বেরোতে চাইছেন না। তাঁর ওয়ার্ডের মানুষকে পরিষেবা দিচ্ছেন বাড়িতে বসেই।

শনিবার দুপুরে গড়িয়া স্টেশন সংলগ্ন তৃণমূলে কার্যালয়ে হামলার অভিযোগ ওঠে। সেখানে বসতেন ১ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর পিন্টু। ওই হামলায় জখম হন তিন জন। তাঁদের চিকিৎসা চলছে বাইপাসের ধারে একটি বেসরকারি হাসপাতালে। ওই ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে চার জনকে পুলিশ গ্রেফতারও করেছে। তার পর থেকে তৃণমূলের সংশ্লিষ্ট কার্যালয়ে কাজকর্ম বন্ধ ছিল।

রবিবার ওই কার্যালয়ে গিয়ে দেখা যায়, চারদিকে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে রয়েছে ভাঙা কাচ। কয়েকটি জায়গায় রক্তের দাগ। কার্যালয়ে গুটি কয়েক লোক উপস্থিত থাকলেও কাউন্সিলরকে পাওয়া যায়নি। তিনি কাজ করছেন বাড়ি থেকেই। বিভিন্ন প্রয়োজনে তাঁর সঙ্গে দেখা করতে আসছেন এলাকার লোকজন থেকে দলীয় কর্মীরা। শনিবারের ঘটনাটি তৃণমূলের গোষ্ঠীকোন্দলের বলে দাবি করেছে বিরোধীরা। তবে কাউন্সিলর পিন্টু বলেন, ‘‘যাঁরা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের ছবি দেওয়া কার্যালয়ে ভাঙচুর চালান, তাঁরা তৃণমূলের হতেই পারেন না। ওঁদের তৃণমূলের লোক বললে পাপ হবে।’’ পাশাপাশি, ওই হামলার পর তিনি যে আতঙ্কে রয়েছেন, সেটাও স্বীকার করে নিয়েছেন কাউন্সিলর। তাঁর দাবি, ‘‘কার্যালয়ে থাকলে আমার উপরেও আক্রমণ হত। এমনকি, প্রাণসংশয় হতে পারত।’’ কাউন্সিলর জানান, অভিযুক্তেরা আগে বিজেপি করতেন। পরে তৃণমূলে আসেন। কিন্তু এলাকায় বিভিন্ন অনৈতিক কাজে যুক্ত থাকায়, তাঁদের অনেক আগেই দল থেকে বার করে দেওয়া হয়েছিল।

রাজপুর-সোনারপুর পুরসভার ১ নম্বর ওয়ার্ডে জলপোল নামে এক বস্তির দখলদারি দু’পক্ষের গোলমালে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে গড়িয়া স্টেশন চত্বর। বাপি হাজরা, সফিকুল শেখ ও প্রতাপ মিশ্র নামে তিন যুবক গুরুতর জখম হন। ওই বস্তির দখলদারি ঘিরে তৃণমূলের দু’পক্ষের মধ্যে বিবাদ রয়েছে বলে স্থানীয় সূত্রে খবর। এক পক্ষ, অর্থাৎ বাপি, সফিকুলেরা স্থানীয় পুরপ্রতিনিধি পিন্টু দেবনাথের ঘনিষ্ঠ। অভিযোগ, তাঁরা কিছু দিন আগে অমিত হালদার নামে অপর পক্ষের এক যুবককে মারধর করেন। তার বদলা নিতেই নাকি শনিবার দলীয় কার্যালয়ে হামলা চলে। সেখানে বাপিরা ছাড়াও বেশ কিছু মহিলা কর্মী উপস্থিত ছিলেন। হামলা ঠেকাতে তাঁরা দরজা বন্ধ করে দিয়ে বাধা দেন। অভিযোগ, দরজা ভেঙে ঢুকে তাণ্ডব চালান অভিযুক্তেরা। ওই ঘটনা নিয়ে স্থানীয় বিজেপি নেতা উত্তম কর বলেন, ‘‘বিজেপির নাম জড়ানোর চেষ্টা হচ্ছে। এটা তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের ফল। কিছু দিন আগে তৃণমূল নেতাকে মারধর করেছিল দলেরই অপর পক্ষ। কিছু দিন পর তাঁদের তৃণমূলের অফিসে পায়। তখন তাঁকে মারধর করা হয়। এখানে বিজেপি কোনও ভাবে জড়িত নয়।’’

অন্য বিষয়গুলি:

TMC Rajpur Sonarpur TMC Councilor
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE