ধৃত তিন ব্যক্তি দক্ষিণ ২৪ পরগনার বাসিন্দা। নিজস্ব চিত্র।
গাড়িতে লাগানো সিবিআইয়ের লোগোর অনুকরণে বোর্ড। আর গাড়ির ভিতর অফিসারের হাবভাব নিয়ে তিন জন। কিন্তু তাঁদের জিজ্ঞাসাবাদ করতেই হল পর্দাফাঁস। এ বার দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলার নরেন্দ্রপুরে গ্রেফতার তিন ‘ভুয়ো সিবিআই অফিসার’।
নরেন্দ্রপুর পুলিশ সূত্রে খবর, শনিবার রাতে কামালগাজি বাইপাসে একটি মারুতি অল্টো গাড়ি আটক করে পুলিশ। আরোহীরা নিজেদের অফিসার বলে পরিচয় দেন বলে অভিযোগ। গাড়ির সামনে সিবিআইয়ের অনুকরণে একটি লোগো লাগানো ছিল। তা নিয়ে পুলিশ জিজ্ঞাসা করলে, তিন ব্যক্তি জানান, তাঁরা ‘ক্রিমিনাল ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন’ নামে একটি ‘স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা’য় কাজ করেন। সেটাই সংক্ষেপে সিবিআই বলে লেখা হয়েছে গাড়িতে। পড়ুয়াদের নিয়ে তাঁদের কাজ। কিন্তু নরেন্দ্রপুরে কোথায় এবং কী কাজ ছিল, আসল কাজই বা কী, সে সব কিছুই বলতে পারেননি। প্রথমে তাঁদের আটক করা হয়। পরে গ্রেফতার করে নরেন্দ্রপুর থানার পুলিশ।
রবিবার ধৃতদের বারুইপুর আদালতে পেশ করা হলে তাঁদের পাঁচ দিনের পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দেন বিচারক। পুলিশ জানিয়েছে, ধৃতদের নাম সঞ্জয় দাস, মনিরুল আলি ও সৌমিত্র নস্কর। তিন জনই দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলার বাসিন্দা। সঞ্জয়ের বাড়ি বারুইপুর। মনিরুল উস্তি থানার বাসিন্দা এবং সৌমিত্র বাসন্তী থানা এলাকার বাসিন্দা।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ধৃতরা যে স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার কথা বলেছেন, তার প্রধান কার্যালয় উত্তরপ্রদেশের গাজিয়াবাদে। সেখানেই কাজকর্ম করেন তাঁরা। ধৃতদের থেকে তা জানতে পেরে সেখানে খোঁজখবর নেওয়া হয়। ওয়েবসাইটে এমন নামের সংস্থারও অস্তিত্বও পান তাঁরা।
কিন্তু ধৃতদের অন্য কোনও উদ্দেশ্য ছিল কি না, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। এদিকে, ওই স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার কর্ণধারকে যাবতীয় নথি নিয়ে থানায় আসার নির্দেশ দিয়েছে পুলিশ। অন্য দিকে, ধৃতদের জেরা করে আরও তথ্য জানতে চাইছেন তদন্তকারী অফিসরারা। এই বিষয়ে বারুইপুর পুলিশ জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (হেডকোয়ার্টার) মকসুদ হাসান বলেন, ‘‘ওই তিন ব্যক্তিকে সন্দেহজনক ভাবে ঘোরাঘুরি করতে দেখে সন্দেহ হয় কর্তব্যরত পুলিশ কর্মীদের। তার উপর গাড়িতে সিবিআই লেখা থাকায় তাঁদের গ্রেফতার করা হয়। ইতিমধ্যেই এই ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy