ধৃত ডাকাতদল এবং উদ্ধার হওয়া অর্থ। — নিজস্ব চিত্র।
ডাকাতির ঘটনার ২৪ ঘণ্টার মধ্যে কিনারা করে ফেলল পুলিশ। জানা গেল, ডাকাতির গল্প ফেঁদে টাকা আত্মসাৎ করার পরিকল্পনা ছিল। কিন্তু পুলিশের তৎপরতায় জলে গেল সমস্ত পরিকল্পনাই।
সোমবার সকালে কুলতলি থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের হয়েছিল, কলকাতায় মুদি দোকানের সামগ্রী কিনতে যাওয়ার পথে রাস্তায় গাড়ি দাঁড় করিয়ে আগ্নেয়াস্ত্র দেখিয়ে পর পর দু’টি গাড়ি থেকে ৭ লক্ষ টাকা লুটের। অভিযোগ, গাড়ির চালক এবং সহকারীকে বেধড়ক মারধরও করা হয়। এক জনের মাথা ফাটে, অন্য জনও গুরুতর আহত হন। অভিযোগ, রাত আড়াইটে নাগাদ কুলতলি থানার জামতলা বাজারের কাছে বেশ কয়েক জন ব্যবসায়ী মুদি দোকানের সামগ্রী কিনতে কলকাতার পথে রওনা হয়েছিলেন। দু’টি মোটরবাইক নিয়ে হঠাৎই ননী হালদার মোড়ের কাছে তাঁদের পথ আটকায় দুষ্কৃতীরা। এর পরে মারধর করে টাকা লুট করে নিয়ে পালিয়ে যায়। লুটপাট সেরে পালানোর সময় শূন্যে চার রাউন্ড গুলিও চালায় দুষ্কৃতীরা।
ঘটনার তদন্তে নেমে কুলতলি থানার পুলিশ, গাড়ি চালক এবং তাঁর সহকারীর সঙ্গে কথা বলে। দু’জনের কথায় পুলিশের সন্দেহ হয়। এর পরেই গ্রেফতার করা হয় গাড়ির মালিক বিধান মণ্ডলকে। তাঁকে দফায় দফায় জেরা করার পর আরও দু’টি নাম উঠে আসে, দেবু নস্কর এবং রঞ্জিত মন্ডল। পুলিশ জানতে পারে, পূর্ব পরিকল্পিত ভাবে ডাকাতির গল্প ফেঁদে টাকা হাতানোর পরিকল্পনা করা হয়েছিল। ঘটনার সঙ্গে যুক্ত আরও তিন জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ডাকাতির ঘটনায় মোট ছ’জনকে গ্রেফতার করা হল। ধৃতদের বাড়ি থেকে উদ্ধার হয়েছে লুটের টাকা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy