Advertisement
০৮ মে ২০২৪
Jewellery Shops

মেরেধরে সিভিককে বেঁধে রেখে আমডাঙার সোনার দোকানে লুট, তিন লক্ষাধিক টাকার গয়না নিয়ে চম্পট

সোমবার গভীর রাতে আমডাঙার একটি সোনার দোকানে ডাকাতির ঘটনা ঘটে। কর্তব্যরত সিভিক ভলান্টিয়ারকে বেঁধে রেখে তিন লক্ষাধিক টাকার গয়না নিয়ে চম্পট দেয় ডাকাতরা।

Image of the shop

আমডাঙার এই গয়নার দোকানেই লুটের ঘটনা ঘটে। — নিজস্ব চিত্র।

আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা
আমডাঙা শেষ আপডেট: ১৭ অক্টোবর ২০২৩ ১৩:০৬
Share: Save:

দক্ষিণ ২৪ পরগনার পর এ বার উত্তর ২৪ পরগনা। আবার সোনার গয়নার দোকানে ঘটে গেল দুঃসাহসিক লুটপাটের ঘটনা। সিভিক ভলান্টিয়ারকে বেঁধে রেখে দোকান থেকে লক্ষাধিক টাকার গয়না লুট করে চম্পট দুষ্কৃতীদের। ঘটনাটি ঘটেছে আমডাঙার দ্বারিয়াপুর হাটখোলায়। সোমবার গভীর রাতের এই ঘটনায় পুলিশ এখনও কাউকে গ্রেফতার করতে পারেনি।

আবারও সোনার দোকানে দুষ্কৃতী হামলা। সোনারপুরের পর এ বার দুষ্কৃতী নিশানায় আমডাঙার দ্বারিয়াপুরের একটি গয়নার দোকান। জানা গিয়েছে, সোমবার গভীর রাতে দ্বারিয়াপুরের কাছে উদ্দিন জুয়েলার্সে হামলা চালায় ছ-সাত জন দুষ্কৃতী। সেই সময় আশপাশেই ডিউটি করছিলেন এক সিভিক ভলান্টিয়ার। হামলার আওয়াজ পেয়ে তিনি অকুস্থলে পৌঁছন। কিন্তু দুষ্কৃতীরা তাঁকে প্রথমে বেধড়ক মারধর করে দোকানের সামনেই বেঁধে রাখেন। তার পর চলে অবাধ লুটপাট।

স্থানীয় সূত্রে খবর, প্রায় তিন লক্ষ টাকার সোনার গয়না নিয়ে চম্পট দিয়েছে দুষ্কৃতীরা। এর পর সিভিক ভলান্টিয়ার ছাড়া পেয়ে থানায় খবর দেন। ভোরের আলো ফুটতেই বিষয়টি নজরে পড়ে পথচলতি মানুষেরও। উত্তেজনা ছড়ায়। পুলিশ এখনও পর্যন্ত এই ঘটনায় জড়িতদের ধরতে পারেনি।

সাম্প্রতিক কালে রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় সোনার দোকানে লুটপাটের ঘটনা ঘটে চলেছে। বেশ কয়েকটি মামলায় ইতিমধ্যেই দুষ্কৃতীদের ধরে চুরি যাওয়া গয়নাও উদ্ধার করতে সক্ষম হয়েছে পুলিশ। গত সপ্তাহেই সোনারপুরে একটি সোনার গয়নার দোকানে ভরসন্ধ্যায় হামলা চালায় ডাকাতরা। দোকানের মালিককে বন্দুকের বাট দিয়ে মেরে মাথা ফাটিয়ে সমস্ত গয়না এবং নগদ টাকা নিয়ে চম্পট দেয় ডাকাতরা। খবর পেয়ে স্থানীয় বাসিন্দারা ধরতে এলে শূন্যে গুলি চালিয়ে এলাকা ছেড়ে ডাকাতরা পালিয়ে যায়।

দ্বারিয়াপুর হাটখোলার যে দোকানে ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে, মহম্মদ বসির উদ্দিনকে সেই দোকানটি ভাড়া দিয়েছিলেন কাজি আহমেদুল্লা। ঘটনার খবর পেয়ে তিনিও আতঙ্কিত। কাজি বলেন, ‘‘এই ঘটনায় আমরা খুবই আতঙ্কিত। সিভিক পুলিশের উপর যে অত্যাচার হয়েছে তা দেখে আমরা ভয় পেয়ে গিয়েছি। আমারই ভাড়াটের দোকানে ডাকাতি হয়ে গেল। আমরা কি আদৌ নিরাপদ? আলো নিভিয়ে লুটপাট চালিয়েছে। আমরা চাই, পুলিশ আমাদের ব্যবসায়ীদের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করুক।’’

বারাসাত পুলিশ জেলার সুপার ভাস্কর মুখোপাধ্যায় বলেন, ‘‘ঘটনার খবর পেয়ে আমার এক সিভিক ভলান্টিয়ার দোকানের সামনে গেলে তাঁকে মারধর করা হয়েছে। রাতেই এসডিপিও, আইসি ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি পর্যালোচনা করেন। তদন্ত চলছে। যত দ্রুত সম্ভব দোষীদের গ্রেফতার করা হবে।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Jewellery Shops Theft police
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE