বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে সহবাসের অভিযোগে গ্রেফতার হলেন উত্তর ২৪ পরগনার বনগাঁ পুরসভার এক নির্দল কাউন্সিলর। ওই কাউন্সিলরের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলে রবিবার তাঁর বাড়ির সামনে ধর্নায় বসেন এক মহিলা। পরে বনগাঁ থানাতেও অভিযোগ জানান তিনি। মহিলার অভিযোগের ভিত্তিতে রবিবার রাতেই পুলিশ গ্রেফতার করে কাউন্সিলরকে। সোমবার সকালে তাঁকে বনগাঁ মহকুমা আদালতে নিয়ে যান পুলিশকর্মীরা। যদিও অভিযুক্ত কাউন্সিলরের দাবি, তিনি নির্দোষ।
কাউন্সিলরের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রকাশ্যে আসে রবিবার। এক মহিলা কাউন্সিলরের বাড়ির সামনে গিয়ে দাবি করেন, এক বছর ধরে কাউন্সিলর তাঁর সঙ্গে সম্পর্কে ছিলেন। মহিলার দাবি, ওই সম্পর্কের জন্য বাড়ি ছেড়ে ভাড়াবাড়িতেও থাকতে হয়েছে তাঁকে। কিন্তু সম্প্রতি কাউন্সিলের তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ রাখছেন না। এমনকি মহিলাকে হুমকিও দেওয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ।
কাউন্সিলরের বাড়ির সামনে মহিলার ধর্না দেওয়ার কথা জানতে পেরে সেখানে পৌঁছে যান স্থানীয় থানার পুলিশকর্মীরা। মহিলাকে থানায় গিয়ে অভিযোগ জানাতে অনুরোধ করা হয়। তার পরে কাউন্সিলরের বাড়ির সামনে থেকে সরে যান মহিলা এবং থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। রবিবারই কাউন্সিলর জানান, মহিলার অভিযোগ ভিত্তিহীন। যে অভিযোগগুলি উঠছে, তেমন কিছুই ঘটেনি বলে দাবি কাউন্সিলরের। অভিযুক্ত কাউন্সিলরের বক্তব্য, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ব্যবহার করেও এখন ছবি তৈরি করা যেতে পারে।
আরও পড়ুন:
সোমবার সকালে পুলিশের গাড়িতে তোলার সময়েও অভিযুক্ত দাবি করেন, তাঁকে ফাঁসানো হচ্ছে। তিনি বলেন, “বিজেপি থেকে ফাঁসানো হয়েছে। পরিকল্পিত ভাবে ফাঁসানো হচ্ছে। মিথ্যা অভিযোগে আমাকে তুলে নিয়ে আসা হয়েছে।”
যদিও রবিবার রাতে নির্দল কাউন্সিলরের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রকাশ্যে আসার পরে বিজেপি দাবি করেছিল, অভিযুক্তের সঙ্গে শাসক শিবিরের যোগ রয়েছে। বনগাঁ সাংগঠনিক জেলা বিজেপির সভাপতি দেবদাস মণ্ডলের কথায়, ‘‘কাউন্সিলরের মাথায় জেলা তৃণমূল নেতৃত্বের হাত রয়েছে।’’