অর্জুন সিংহ।
হালিশহরে বিজেপি কর্মী খুনের ঘটনায় যখন উত্তপ্ত হালিশহর, শনিবার ঠিক সেই সময়ে ব্যারাকপুরের সাংসদ অর্জুন সিংহের বাড়ির দরজায় হাজির পুলিশ। নির্দিষ্ট খবরের ভিত্তিতে আদালতের নির্দেশে দুই দুষ্কৃতীর খোঁজে সাংসদের বাড়িতে তল্লাশি চালানো হয়েছে বলে দাবি পুলিশ কর্তাদের। পুলিশের অভিযোগ, আদালতের নির্দেশ থাকা সত্ত্বেও পুলিশকে দীর্ঘক্ষণ ওই বাড়িতে ঢুকতে দেওয়া হয়নি। যদিও অর্জুনের বাড়িতে কোনও দুষ্কৃতীর সন্ধান মেলেনি।
অর্জুনের অভিযোগ, হালিশহরে খুনের ঘটনার সময়ে তাঁকে বাড়িতে আটকে রাখতেই পুলিশ তল্লাশির ‘নাটক’ করেছে। এর আগেও ব্যাঙ্ক জালিয়াতির মামলায় অর্জুনের বাড়িতে তল্লাশি চালিয়েছিল ব্যারাকপুর কমিশনারেটের গোয়েন্দা বিভাগ। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, মাসখানেক আগে অর্জুনের অফিস তথা বাড়ি মজদুর ভবন লাগোয়া একটি বাড়িতে বোমা বিস্ফোরণ হয়। পরে ওই বাড়িতে গিয়ে পুলিশ কাউকে পায়নি। বাড়ি ফাঁকাই ছিল। পুলিশ জানতে পারে, বোমায় দু’জন জখম হয়েছিল। তারা সেখানে বোমা বাঁধছিল। তবে বিস্তর তল্লাশির পরেও পুলিশ কাউকে খুঁজে পায়নি।
পুলিশ জানিয়েছে, সূত্র মারফত তাদের হাতে একটি ছবি আসে। তাতে দুই জখম ব্যক্তিকে মজদুর ভবনে দেখা গিয়েছে। সেখানে তাদের চিকিৎসা চলতে দেখা যায় ছবিতে। সেখানে দু’জনের মধ্যে ছিল বান্টি দাস নামে একজন। বোমা বাঁধতে গিয়ে যার একটি হাত উড়ে গিয়েছে বলে জানতে পেরেছে পুলিশ। তার সঙ্গীর মুখে আঘাত লাগে।
ব্যারাকপুর কমিশনারেটের ডিসি (সাউথ) অজয় ঠাকুর জানান, ব্যারাকপুর আদালতের কাছে সাংসদের বাড়িতে তল্লাশির অনুমতি চাওয়া হয়েছিল। আদালত তা মঞ্জুর করে। আদালত থেক ‘সার্চ ওয়ারেন্ট’ নিয়ে শনিবার সন্ধ্যায় পুলিশ ভাটপাড়ায় অর্জুনের মজদুর ভবনে যায়। ততক্ষণে হালিশহরের বিজেপি কর্মী সৈকত ভাওয়ালের মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়েছে। অভিযোগ, সার্চ ওয়ারেন্ট দেখানোর পরেও তাদের ঘরে ঢুকতে দেওয়া হয়নি। দু’পক্ষের মধ্যে বিস্তর কথা কাটাকাটির পরে ঙিতরে ঢোকে পুলিশ। তবে সেখানে বান্টি ও তার সঙ্গীর খোঁজ মেলেনি।
অজয় ঠাকুর বলেন, ‘‘নির্দিষ্ট খবর ছিল বলেই পুলিশ তল্লাশিতে গিয়েছিল। কিন্তু সময় মতো তাদের ঢুকতে দেওয়া হয়নি।’’
এ দিন হালিশহরে গিয়ে তাঁর বাড়িতে তল্লাশি সম্পর্কে অর্জুন বলেন, ‘‘এ সব পুলিশের নাটক। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পুলিশ এখন দলদাসে পরিণত হয়ে গিয়েছে। সরকারটাই এখন পুলিশ দিয়ে চলছে। রাজনৈতিক লড়াইয়ে এঁটে উঠতে না পেরে এ সব করছে। আর শনিবার এ সব করার কারণ, আমি যাতে হালিশহরে আসতে না পারি।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy