পিঙ্কি দাস
ক্রিকেটার একলাখ আহমেদের ফ্ল্যাট থেকে তাঁর স্ত্রীর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়েছে। সোমবার সকালে, বরাহনগরের শ্রীনাথ চক্রবর্তী লেনে। পুলিশ জানিয়েছে, মৃতার নাম পিঙ্কি দাস (২৪)। মৃতার পরিবারের তরফে রাত পর্যন্ত থানায় কোনও অভিযোগ দায়ের না হলেও এই মৃত্যুর ঘটনায় রহস্য দানা বেঁধেছে। মৃতার স্বামী, একলাখ আহমেদকে সোমবার গভীর রাত পর্যন্ত আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করে বরাহনগর থানার পুলিশ। পরে যদিও ছেড়ে দেওয়া হয়।
একলাখ বাংলার হয়ে রঞ্জি খেলতেন। আইসিএল-এও খেলতেন। আইপিএল-এ তিনি কেকেআর-এর হয়ে খেলেছেন। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রের খবর, বছর চারেক আগে একলাখ আহমেদের সঙ্গে আলমবাজারের বাসিন্দা পিঙ্কির বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকেই তাঁরা শ্রীনাথ চক্রবর্তী লেনের এই আবাসনের পাঁচতলা ফ্ল্যাটে থাকেন। পুলিশ জানিয়েছে, একলাখ ভারতীয় ডাক বিভাগের কর্মী। এ দিন সকাল সাড়ে আটটা নাগাদ তিনি বাড়ি থেকে বেরোন। তাঁর দাবি, ঘণ্টা খানেক পরে বাড়ি ফিরে স্ত্রীকে শোয়ার ঘরে ফ্যানের সঙ্গে গলায় ওড়না বেঁধে ঝুলতে দেখেন। এর পরেই পড়শিদের খবর দেন তিনি। পরে পুলিশ এসে দেহ উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকেরা পিঙ্কিকে মৃত ঘোষণা করেন। স্থানীয় সূত্রের খবর, একলাখ ও পিঙ্কির বছর দুয়েকের এক পুত্র সন্তান আছে। এ দিন ঘটনার সময়ে তাঁদের ছেলে পাশের ঘরেই ঘুমিয়েছিল।
আরও খবর
খুনের পাল্টা খুন
এ দিকে, এই ঘটনায় খানিক অবাক ওই আবাসনের বাসিন্দারা। একলাখের পাশের ফ্ল্যাটের বাসিন্দা বর্ণালী চক্রবর্তীর কথায়, ‘‘পিঙ্কি খুব শান্ত স্বভাবের ছিলেন। খুব বেশি মিশতেন না। ওঁদের দু’জনের মধ্যে কখনও ঝগড়া-অশান্তি টের পেতাম না। হঠাৎ যে কী হল!’’ পড়শিদেরই কেউ কেউ জানান, একলাখের সঙ্গে বিয়ে মেনে নিতে পারেননি পিঙ্কির পরিজনেরা। তাঁদের কখনও এই ফ্ল্যাটেও আসতে দেখেননি প়ড়শিরা। স্থানীয়দের অভিযোগ, এ দিন ঘটনার পরে একলাখের পরিজনেরা ঘটনাটি চাপা দিতে চেষ্টা করেন। পরে পুলিশ খবর পেয়ে মৃতদেহ উদ্ধার করে একটি অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা রুজু করেছে।
সোমবার বিকেল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত একলাখকে টানা জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশ। তদন্তকারীদের দাবি, একলাখ জানিয়েছেন, নিজের চাবি দিয়ে ফ্ল্যাটের দরজা খুলে ঢুকে তিনি পিঙ্কির ঝুলন্ত দেহ দেখতে পান। কিন্তু পুলিশের প্রশ্ন, অফিসের জন্য বেরিয়ে থাকলে এক ঘণ্টা পরেই কেন ফিরে এলেন একলাখ? এমনই কিছু প্রশ্ন ঘিরে তৈরি হয়েছে ধোঁয়াশা। তদন্তকারীরা জেনেছেন, দিন কয়েক আগে একলাখের সঙ্গে তাঁর স্ত্রীর অশান্তি হয়েছিল। তবে কী কারণে অশান্তি, তা এখনও পরিষ্কার নয় তদন্তকারীদের কাছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy