Advertisement
E-Paper

অন্তঃসত্ত্বাকে হাসপাতালে পাঠাল পুলিশ

ঢাকার বাসিন্দা অর্পিতা দাশগুপ্ত শনিবার সকালে স্বামী আনন্দের সঙ্গে শ্বশুরবাড়ি বালিগঞ্জে ফিরছিলেন। তিনি সাত মাসের অন্তঃসত্ত্বা। বাপের বাড়ি গিয়েছিলেন।

সীমান্ত মৈত্র

শেষ আপডেট: ২২ এপ্রিল ২০১৮ ০১:৩১
প্রতীকী ছবি।

প্রতীকী ছবি।

নো ম্যানস ল্যান্ডে অসুস্থ হয়ে পড়া অন্তঃসত্ত্বাকে হাসপাতালে পাঠানোর ব্যবস্থা করল পুলিশ।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ঢাকার বাসিন্দা অর্পিতা দাশগুপ্ত শনিবার সকালে স্বামী আনন্দের সঙ্গে শ্বশুরবাড়ি বালিগঞ্জে ফিরছিলেন। তিনি সাত মাসের অন্তঃসত্ত্বা। বাপের বাড়ি গিয়েছিলেন। সকাল ৭টা নাগাদ বেনাপোল সীমান্তে পাসপোর্ট-ভিসা পরীক্ষা করিয়ে এ দেশে ঢোকেন। কিন্তু প্রক্রিয়াগত কিছু কারণে তাঁদের বেলা হয়ে যায়।

ততক্ষণে অর্পিতার রক্তক্ষরণ শুরু হয়েছে। খবর পৌঁছয় পেট্রাপোল থানার ওসি সিদ্ধার্থশঙ্কর মণ্ডলের কাছে। তিনি নিজের গাড়ি করে অর্পিতাকে ৫ কিলোমিটার দূরে বনগাঁ মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে গিয়ে ভর্তি করান। বিকেলের দিকে স্ত্রীকে নিয়ে বালিগঞ্জে রওনা দেন আনন্দ। নিজের টাকায় গাড়িটিও ভাড়া করে দেন সিদ্ধার্থবাবু। সিদ্ধার্থর কথায়, ‘‘আমি চেয়েছিলাম, যে ভাবে হোক গর্ভস্থ প্রাণটুকু আগে বাঁচুক। আইনকানুন পরে ভাবা যাবে।’’

কিন্তু অসুস্থ অর্পিতাকে এত দেরি করালো কেন অভিবাসন দফতর?

আনন্দর অভিযোগ, পেট্রাপোল সীমান্তে এ দেশের অভিবাসন দফতরের কর্মীরা দেখেন, অর্পিতার পাসপোর্টে সেলোটেপ লাগানো। সেটি বাতিল, এই যুক্তি দেখিয়ে তাঁদের দুপুর পর্যন্ত আটকে রাখা হয়। আনন্দ জানান, নো ম্যানস ল্যান্ডে না ছিল শৌচালয়, না পানীয় জলের ব্যবস্থা। একটা সময়ে অসুস্থ হয়ে পড়েন অর্পিতা। ‘‘ওসি না এলে কী যে হত’’— বলেন আনন্দ।

পুলিশ জানিয়েছে, অর্পিতাদেবীর বাংলাদেশি পাসপোর্টটি বৈধ ছিল। তার ফটোকপি রাখা হয়েছে। কেন এমন ঘটনা ঘটল? মুখে কুলুপ অভিবাসন দফতরের কর্তাদের। আনন্দবাবু থানায় একটি লিখিত অভিযোগ করেছেন।

Police Pregnant Hospital
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy