নিকাশি নালার উপরে তৈরি করা হচ্ছিল কংক্রিটের নির্মাণ। অভিযোগ পেয়ে ভাঙড় ২ ব্লকের বিজয়গঞ্জ বাজার ও কাঁঠালিয়া রাস্তার ধারে থাকা ওই অবৈধ নির্মাণ বন্ধ করল ব্লক প্রশাসন ও উত্তর কাশীপুর থানার পুলিশ।
স্থানীয় সূত্রের খবর, কাঁঠালিয়া থেকে বিজয়গঞ্জ বাজার পর্যন্ত একটি নিকাশি খাল রয়েছে। ভুমরু, পূর্ব কাঁঠালিয়া, পশ্চিম কাঁঠালিয়া, পানাপুকুর-সহ আশপাশের বেশ কয়েকটি গ্রামের জল ওই খাল দিয়ে বিজয়গঞ্জ বাজারের কাটা খালে গিয়ে পড়ে। সম্প্রতি ওই নিকাশি খালের ধারে থাকা একটি পুকুরের কিছুটা অংশ কেনেন সাইফুল মোল্লা নামে এক ব্যক্তি। অভিযোগ, এরপরেই প্রায় ৭০ বছরের পুরনো ওই পুকুরে কংক্রিটের পিলার গড়ে তুলতে শুরু করেন সাইফুল। আরও অভিযোগ, পাশ দিয়ে বয়ে যাওয়া নিকাশি খালেও কংক্রিটের পিলার তোলেন তিনি। এ বিষয়ে তাঁর যোগাযোগ করা হলে তিনি প্রতিক্রিয়া জানাতে রাজি হননি।
বিষয়টি চোখে পড়তেই প্রতিবাদ জানান এলাকার লোকেরা। তাঁদের অভিযোগ, স্থানীয় তৃণমূল নেতাদের মদতেই রাতারাতি এই বেআইনি নির্মাণ হয়েছে। এর আগেও খালে বেআইনি নির্মাণ করা হয়েছে বলে দাবি তাঁদের। স্থানীয় বাসিন্দা খোকন মোল্লা, আনোয়ার আলি বলেন, ‘‘ব্লক অফিস থেকে ঢিল ছোড়া দূরত্বে ওই নিকাশি খাল। সেখানে বেআইনি নির্মাণ বেড়েই চলেছে। ফলে, বৃষ্টির জল রাস্তায় জমে যাচ্ছে। অবিলম্বে সমস্ত বেআইনি নির্মাণ বন্ধ করা দরকার।’’ এ বিষয়ে বিজেপির যাদবপুর সাংগঠনিক জেলার সহ-সভাপতি অবনী মণ্ডল বলেন, ‘‘শাসকদলের মদত ছাড়া এ ধরনের কাজ হতে পারে না।’’
যদিও ক্যানিং পূর্বের বিধায়ক তথা ভাঙড়ের তৃণমূলের পর্যবেক্ষক সওকাত মোল্লা বলেন, ‘‘আমরা এ ধরনের বেআইনি কাজকে সমর্থন করি না। অভিযোগ মেলার পরেই পদক্ষেপ করা হয়েছে।’’
ভাঙড় ২ বিডিও পার্থ বন্দ্যোপাধ্যায়ের কথায়, ‘‘বেশ কিছু সূত্রে অভিযোগ পাই, ওই এলাকায় নিকাশি খালের উপরে বেআইনি ভাবে নির্মাণ করা হচ্ছে। বিষয়টি পুলিশকে জানানো হলে তারা কাজ বন্ধ করে দেয়।’’
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)