Advertisement
E-Paper

স্কুলের রান্না চেখে দেখল পুলিশ

মিড ডে মিলের চাল-ডালে নোংরা থাকছে, মাথা পিছু খাবার মিলছে কম, রান্নাঘরের পরিবেশ অস্বাস্থ্যকর— ক্যানিঙের স্কুলগুলিতে মিড ডে মিল নিয়ে এমন অভিযোগ আসছিল অনেক দিন ধরেই।

সামসুল হুদা

শেষ আপডেট: ১৫ জুলাই ২০১৬ ০২:৩৮
খাবার কেমন, রিপোর্ট যাবে উপর মহলে। নিজস্ব চিত্র।

খাবার কেমন, রিপোর্ট যাবে উপর মহলে। নিজস্ব চিত্র।

মিড ডে মিলের চাল-ডালে নোংরা থাকছে, মাথা পিছু খাবার মিলছে কম, রান্নাঘরের পরিবেশ অস্বাস্থ্যকর— ক্যানিঙের স্কুলগুলিতে মিড ডে মিল নিয়ে এমন অভিযোগ আসছিল অনেক দিন ধরেই। বুধবার সে সব সরেজমিনে দেখতে কয়েকটি স্কুলে ঘুরল পুলিশ। ক্যানিঙের এসডিপিও সৌম্য রায় বলেন, ‘‘জেলা প্রশাসনের নির্দেশে স্কুলগুলিতে মিড ডে মিল নিয়ে কী সমস্যা রয়েছে সেগুলি খতিয়ে দেখতেই পুলিশ স্কুলে গিয়েছিল। পুরো বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হবে।’’

এ দিন ক্যানিঙের মিঠাখালি নিউ মডেল প্রাথমিক স্কুল, সেন্ট গ্যাব্রিয়েল হাইস্কুল, সেন্ট গ্যাব্রিয়েল প্রাথমিক স্কুল, কুমারসা পাড়া প্রাথমিক স্কুলে যান পুলিশ কর্তারা। সেই দলে ছিলেন ক্যানিং থানার ওসি আশিস দাস। মিঠাখালি স্কুলের রান্নাঘরে গিয়ে দেখা গেল, সেখানে ঝুল ভর্তি। জল-কাদায় রান্নাঘর প্যাচ প্যাচ করছে। তার মধ্যেই রান্নার ব্যবস্থা। সেখান থেকেই খাবার সংগ্রহ করছে পড়ুয়ারা। সেন্ট গ্যাব্রিয়েল হাইস্কুল ছাড়া অন্য কোথাও মিড ডে মিল খাবার জায়গায় নির্দিষ্ট ছাউনি চোখে পড়েনি। মিঠাখালি ও কুমারসা স্কুলে ছাত্রছাত্রীদের স্কুলের বারান্দায় বসে মিড ডে মিল খেতে দেখে বিরক্তি প্রকাশ করেন পরিদর্শকেরা।

বেশ কয়েকটি স্কুলের পড়ুয়াদের অভিযোগ, স্কুলে মিড ডে মিলের দিন অনুযায়ী নির্দিষ্ট মেনু থাকলেও সেই মতো খাবার দেওয়া হয় না। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক ছাত্রের ক্ষোভ, ‘‘স্কুল থেকে যে খাবার দেওয়া হয় তাতে পেট ভরে না। সব্জির মান ভাল নয়।’’ এক অভিভাবিকা জানান, স্কুল থেকে যে খাবার দেওয়া হয়, তার গুনগতমান ভাল নয়। তাই বাড়ি থেকে সব্জি এনে বাচ্চাকে খাওয়ান।

সেন্ট গ্যাব্রিয়েল স্কুলের মিড ডে মিলের দায়িত্বে থাকা শিক্ষক রৌশনজিৎ হালদার জানালেন, পঞ্চম শ্রেণির ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য মাথা পিছু ৩ টাকা ৮০ পয়সা এবং ষষ্ঠ শ্রেণি থেকে অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত ছাত্রছাত্রীদের জন্য মাথা পিছু ৫ টাকা ৮৪ পয়সা বরাদ্দ। বর্তমানে বাজারে সব্জির যা দাম, তাতে ওই টাকায় বাচ্চাদের মিড ডে মিলের বাজার করে রান্না করা প্রায় অসম্ভব।’’ মিলের পরিকাঠামো উন্নয়নের দিকে ভাবনা-চিন্তা করা যাচ্ছে না বলে তাঁর মত। ক্যানিং ১ পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি পরেশরাম দাস বলেন, ‘‘স্কুলগুলিতে যে মিড ডে মিল খাওয়ার জন্য যে ছাউনি নেই, জানতাম না। খোঁজ নিয়ে দেখব। মিল নিয়ে লিখিত অভিযোগ পেলে অবশ্যই ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’’

Mid-day meal Children Police
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy