জখম: নিজস্ব চিত্র
এলাকায় বোমাবাজি, মারামারি-সহ একাধিক অভিযোগ ছিল এক তৃণমূল কর্মীর বিরুদ্ধে। তাকে গ্রেফতার করতে গেলে পুলিশের উপরে চড়াও হয় গ্রামবাসী। ভাঙচুর করা হয় পুলিশের গাড়ি। মারধর করা হয় পুলিশকর্মীদের। জখম হয়েছেন ৩ জন।
সোমবার দুপুরে ঘটনাটি ঘটেছে বাসন্তীর ক্ষিরিশতলায়। বারুইপুর পুলিশ জেলার সুপার অরিজিৎ সিংহ বলেন, ‘‘জাকির শেখ নামে ওই যুবককে গ্রেফতার করতে গেলে কিছু পুরুষ-মহিলা পুলিশকে আক্রমণ করে। অভিযুক্তকে ছাড়িয়ে নিয়ে যায়। জাকিরের খোঁজ চলছে। এই ঘটনায় ৭ জন মহিলাকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।’’
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, কয়েকদিন আগে বাসন্তীতে তৃণমূলের দুই গোষ্ঠীর সংঘর্ষে খুন হয়েছিলেন দু’পক্ষের দু’জন। এলাকায় ঘর-বাড়ি ভাঙচুর, পোড়ানো-সহ বোমাবাজি, গুলি চলে। এতে দুই গোষ্ঠীর কর্মীদেরই নাম জড়িয়েছিল। ২৬ অগস্ট উত্তর চুনাখালিতে যুব তৃণমূল কর্মীদের গুলিতে মারা যান দলের কর্মী মিঠুন দাস। ২৭ অগস্ট নির্দেশখালিতে তৃণমূল কর্মীদের ছোড়া গুলিতে মৃত্যু হয় যুব তৃণমূল কর্মী মুজিবর মল্লিকের।
সে সময়ে পুলিশ নির্দেশখালিতে ঢুকতে গেলে পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলি-বোমা ছোড়া হয়। এই ঘটনার পরে মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে তৃণমূলের জেলা সভাপতি শোভন চট্টোপাধ্যায় বাসন্তীতে ব্লক যুব ও তৃণমূল কমিটি ভেঙে দেন। ব্লক তৃণমূলের সভাপতির পদ মন্টু গাজি ও ব্লক যুব তৃণমূলের সভাপতির পদ থেকে আমান লস্করকে সরিয়ে দেওয়া হয়।
গত কয়েক দিন ধরে পুলিশ বাসন্তীতে গোষ্ঠী সংঘর্ষে ও খুনের ঘটনায় জড়িতদের গ্রেফতার করতে অভিযান চালাচ্ছে। সেই মতো সোমবার পুলিশ ক্ষিরিশতলায় যায়। মন্টু ঘনিষ্ঠ জাকিরকে গ্রেফতার করা হয়। কিন্তু এলাকা থেকে বেরনোর আগে পুলিশের উপরে চড়াও হয় জনতা।
তৃণমূলের দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলা সহ সভাপতি শক্তি মণ্ডল বলেন, ‘‘কিছু ক্ষেত্রে পুলিশ বাড়াবাড়ি করে ফেলছে। যে কারণে সাধারণ মানুষ ক্ষেপে উঠছেন। তবে এ দিনের ঘটনা অত্যন্ত নিন্দনীয়। আইন হাতে তুলে নেওয়া ঠিক নয়।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy