অভিযান: কুলতলির গ্রামে ঘরছাড়াদের নিয়ে ঢুকছে পুলিশ। নিজস্ব চিত্র
বিডিও অফিসে সর্বদল বৈঠকের দিন কয়েক পরে সোমবার কুলতলিতে ঘরছাড়াদের নিয়ে গ্রামে ঘুরল পুলিশ ও সর্বদল কমিটি। গ্রামের কয়েকজন প্রথমে তাঁদের পথ আটকালেও পুলিশ দেখে কেউ কথা বাড়ায়নি।
প্রশাসন ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, কুলতলির মেরিগঞ্জ ১ পঞ্চায়েতের বেণীমাধবপুর এবং মেরিগঞ্জ ২ পঞ্চায়েতের কৈলাসপুর গ্রাম দু’টি আগে ছিল সিপিএম-আরএসপি-র দখলে। কিছুটা প্রভাব ছিল এসইউসি-র। রাজ্যে রাজনৈতিক পালাবদলের পরে দু’টি গ্রামেই তৃণমূলের প্রভাব বাড়ে। স্থানীয় বাসিন্দাদের একাংশের অভিযোগ, বেণীমাধবপুরের কয়েকজন আরএসপি কর্মী তৃণমূলে যোগ দিয়ে এলাকায় সন্ত্রাস তৈরি করেছে। ২০১৫ সাল থেকে ওই ‘নব্য’ তৃণমূল নেতাদের অত্যাচারে বিরোধী দলের অনেকেই ঘরছাড়া হন। তাঁদের ফেরাতে সম্প্রতি উদ্যোগী হয়েছে পুলিশ-প্রশাসন।
পুলিশ জানিয়েছে, এ দিন বেণীমাধবপুর গ্রামে যান পুলিশ-প্রশাসনের লোকজন। সঙ্গে ছিলেন কয়েকজন ঘরছাড়া। গ্রামের পরিবেশ ছিল থমথমে। পুলিশ দেখে অনেকে জানলা খুলে উঁকি মারলেও কেউ বাইরে আসেননি। ঘরছাড়ারা পুলিশকে তাঁদের বাড়ি, জমির অবস্থা দেখান। সেগুলির বেশিরভাগই এখন হয় ভগ্নপ্রায় অথবা জবরদখল হয়ে গিয়েছে। এ দিনের প্রতিনিধিদলে কুলতলি থানার ওসি অরিন্দম ভট্টাচার্য ছাড়াও ছিলেন তৃণমূল, বিজেপি, সিপিএম-সহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধিরা।
বিরোধী দলের প্রতিনিধিরা অভিযোগ করেন, কুলতলির ওই দুই গ্রামে আইনের শাসন নেই। ঘরছাড়াদের এলাকায় ফিরিয়ে পুলিশ ক্যাম্পের ব্যবস্থা করার দাবি করেছেন তাঁরা। পুলিশ জানিয়েছে, গ্রামবাসীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গিয়েছে, সব মিলিয়ে ৫-৬টি পরিবারের ২০-২২ জন সদস্য ঘরছাড়া রয়েছেন। তাঁদের ফেরানোর বিষয়ে ফের সর্বদল বৈঠক ডেকে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy