Advertisement
E-Paper

সাব স্টেশনের কাজ শেষ হলে মিটবে বিদ্যুৎ সমস্যা

ক্যানিং ও বারুইপুর মহকুমায় বিদ্যুতের সমস্যা দীর্ঘদিনের। লোডশেডিং ও লো-ভোল্টেজের জন্য নাজেহাল মানুষ।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২৬ জুন ২০১৮ ০২:০১
নির্মাণ: তৈরি হচ্ছে সাব স্টেশন। নিজস্ব চিত্র

নির্মাণ: তৈরি হচ্ছে সাব স্টেশন। নিজস্ব চিত্র

দীর্ঘ টানাপোড়েনের পর অবশেষে সোনাখালি ও সুভাষগ্রামের বিদ্যুতের সাব স্টেশন প্রকল্পের কাজ শেষ হতে চলেছে। আর এই কাজ শেষ হলেই এলাকায় লোডশেডিং ও লো-ভোল্টেজের সমস্যা মিটবে বলে আশা করছেন প্রশাসন।

ক্যানিং ও বারুইপুর মহকুমায় বিদ্যুতের সমস্যা দীর্ঘদিনের। লোডশেডিং ও লো-ভোল্টেজের জন্য নাজেহাল মানুষ। বিদ্যুতের সমস্যা সমাধানের জন্য প্রায় ৬০ কোটি টাকা ব্যয়ে বাসন্তীর সোনাখালি ও সোনারপুরের সুভাষগ্রামে দু’টি বিদ্যুতের সাব স্টেশনের কাজ শুরু হয়। ওই সাব স্টেশনের কাজ শেষ হয়ে যাওয়ার পরে বিদ্যুতের টাওয়ার ও ওভারহেডের তার টাঙানো নিয়ে সমস্যা তৈরি হয়েছিল। বিভিন্ন জায়গায় জমির উপরে টাওয়ার বসানো নিয়ে আপত্তি তোলেন জমি মালিকরা। জমি জটের কারণে প্রায় আড়াই বছর ওই প্রকল্পের কাজ থমকে যায়। এ বছর ২৬ মার্চ পৈলানে প্রশাসনিক বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দ্রুত ওই কাজ শেষ করার জন্য প্রশাসনকে নির্দেশ দেন। এরপরই জেলাশাসক ওয়াই রত্নাকর রাও সমস্যা সমাধানের জন্য বিদ্যুৎ দফতরের সঙ্গে আলোচনা করেন। শেষমেশ জমিজট কাটিয়ে কাজ শুরু হয়।

বিদ্যুৎ দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, সোনাখালি থেকে সুভাষগ্রামের মধ্যে বিদ্যুতের লাইন সংযোগের জন্য ১৬৬টি টাওয়ারের মধ্যে ১৬৪টি টাওয়ার বসানোর কাজ শেষ হয়ে গিয়েছে। ৪১ কিলোমিটারের মধ্যে ৩৪ কিলোমিটার তার টাঙানোর কাজ প্রায় শেষ। বাকি কাজ আগামী ১০ জুলাইয়ের মধ্যে শেষ করে ওই প্রকল্প শুরু করার পরিকল্পনা নিয়েছে প্রশাসন। ওই দুই সাব স্টেশন চালু হয়ে গেলে ক্যানিং, বারুইপুর মহকুমায় বিদ্যুতের সমস্যার সমাধান হবে বলে বিদ্যুৎ দফতরের দাবি। সে ক্ষেত্রে ক্যানিং, বাসন্তী, গোসাবা হাসপাতালেও বিদ্যুতের সমস্যা মিটবে বলে মনে করছে প্রশাসন। প্রশাসন সূত্রের খবর, ওই কাজ দ্রুত শেষ করার জন্য এলাকার ৪০০ জন চাষির সঙ্গে কথা বলা হয়। সুভাষগ্রামের কাছে টাওয়ার বসানো নিয়ে জটিলতা তৈরি হয়েছিল। জেলাশাসক শনিবার ওই এলাকায় গিয়ে সবার সঙ্গে কথা বলে সমস্যার সমাধান করেন। এ বিষয়ে সোনাখালির এক জমির মালিক বলেন, ‘‘আমরা চাই এলাকায় বিদ্যুতের সমস্যার সমাধান হোক। কিন্তু আমাদের জমির উপর দিয়ে তার নিয়ে যাওয়ায় মনে হয়েছিল চাষের ক্ষতি হবে। এ নিয়ে প্রশাসন আমাদের সঙ্গে বৈঠক করে। কোনও সমস্যা হবে না বলে তাঁরা আশ্বাস দিয়েছেন। তা ছাড়া আমরা উপযুক্ত ক্ষতিপূরণ পেয়ে খুশি।’’

Power service Sub-station works
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy