Advertisement
২৩ এপ্রিল ২০২৪
Coronavirus in West Bengal

পড়ুয়াদের উজ্জীবিত করতে নতুন সাজ

শ্রেণি কক্ষের দেওয়ালে আঁকা হয়েছে গাছ লাগানো, শরীর চর্চা, ব্রাশ করা, স্যানিটাইজ়ারের ব্যবহার নিয়ে ছবি। স্কুলের পাঁচিল জুড়ে সুকুমার রায়ের ছড়া অবলম্বনে বিভিন্ন ছবি আঁকা।

ঝলমলে: সেজে উঠেছে স্কুল। ছবি: সুজিত দুয়ারি।

ঝলমলে: সেজে উঠেছে স্কুল। ছবি: সুজিত দুয়ারি।

সীমান্ত মৈত্র  
অশোকনগর শেষ আপডেট: ১০ ফেব্রুয়ারি ২০২১ ০৬:৩০
Share: Save:

স্কুলের দোতলার করিডর জুড়ে আঁকা হয়েছে চলন্ত ট্রেনের ছবি। শ্রেণি কক্ষের দেওয়ালে আঁকা হয়েছে গাছ লাগানো, শরীর চর্চা, ব্রাশ করা, স্যানিটাইজ়ারের ব্যবহার নিয়ে ছবি। স্কুলের পাঁচিল জুড়ে সুকুমার রায়ের ছড়া অবলম্বনে বিভিন্ন ছবি আঁকা। শব্দদূষণের ফলে কী ধরনের ক্ষতি হতে পারে, তারও ছবি রয়েছে।

নিজস্ব তহবিল থেকে এ ভাবেই নতুন ভাবে সাজিয়ে তোলা হয়েছে অশোকনগর বিদ্যাসাগর বাণীভবন উচ্চ বিদ্যালয়। প্রধান শিক্ষকের আবেদনে সাড়া দিয়ে স্থানীয় মানুষও সাহায্যের হাত বাড়িয়েছে।

সরকারি নির্দেশে ১২ ফেব্রুয়ারি থেকে স্কুল খুলছে। সরকারি বিধিনিষেধ মেনে নবম থেকে দ্বাদশ শ্রেণির ক্লাস হবে। আর তার আগেই ওই স্কুল কর্তৃপক্ষ ভবনকে নতুন করে সাজিয়ে তুলেছেন। স্কুল কর্তৃপক্ষের দাবি, ১২ ফেব্রুয়ারি পড়ুয়ারা এসে যাতে নতুন রূপে স্কুলকে দেখতে পারে, এ কারণেই সাজিয়ে তোলা হয়েছে। প্রধান শিক্ষক মনোজ ঘোষ বলেন, ‘‘দীর্ঘ করোনা পরিস্থিতি ও লকডাউনের কারণে ছাত্রছাত্রীদের মানসিক অবসাদ গ্রাস করেছে। তারা যাতে স্কুলে এসে নতুন ভাবে স্কুলকে দেখে উজ্জীবিত হতে পারে, সে কারণেই এই ব্যবস্থা। নতুন পরিবেশে তারা মানসিক ভাবে উৎসাহিত হতে পারবে।’’

স্কুল সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই চারটি শ্রেণিতে ছাত্রছাত্রীর সংখ্যা সাড়ে ৬০০। স্বাস্থ্যবিধি বজায় রেখে প্রতিটি কক্ষে সর্বোচ্চ ৪০ জন পড়ুয়াকে বসানো হবে। শ্রেণিকক্ষেই হবে প্রার্থনা সঙ্গীত। স্কুলে আছে স্যানিটাইজ়ার মেশিন এবং থার্মাল গান।

পড়ুয়াদের শারীরিক পরীক্ষা করিয়ে ঢোকানো হবে। পড়ুয়ারা যাতে স্কুলে নিয়মিত স্যানিটাইজ়ার ব্যবহার করে, সে জন্য মিড ডে মিল রান্নার কাজে যুক্ত মহিলাদের নজরদারিতে রাখা হবে। স্কুলে ২৫ জন শিক্ষক-শিক্ষিকা।

স্কুল নতুন করে সাজানোর পাশাপাশি ছাত্রীদের জন্য শৌচালয় ও বাগান করা হয়েছে। স্কুলে আনাজ চাষ করা হয়েছে। সেখানে বাঁধাকপি, ফুলকপি, গাজর, পেঁপে, টমেটো, লালশাক চাষ হয়েছে। প্রাক্তন ছাত্র, স্কুল শিক্ষকেরা করোনা পরিস্থিতিতে এই চাষ করেছেন। পড়ুয়ারা স্কুলে এসে এটাও দেখবে। মিড ডে মিলে এই আনাজ রান্না করে পড়ুয়াদের খাওয়ানো হবে। এক শিক্ষকের কথায়, ‘‘লকডাউনের শুরু থেকে অনলাইন ক্লাস হয়েছে। তবে অনেকেরই সমস্যা হয়েছে। এ বার স্কুলে এসে নতুন পরিবেশে তারা প্রাণবন্ত হয়ে উঠবে।’’ অভিভাবকেরা জানালেন, ছেলেমেয়েদের জন্য স্কুল কর্তৃপক্ষের এই ভাবনায় তাঁরা খুশি।

এক পড়ুয়ার কথায়, ‘‘অপেক্ষা আর সইছে না। কবে যে স্কুলে যাব, বন্ধুদের সঙ্গে দেখা করব!’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

school Coronavirus in West Bengal
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE