Advertisement
E-Paper

কুলতলিকাণ্ডে কী ভাবে গ্রেফতার সাদ্দাম? জানাল পুলিশ, সুড়ঙ্গ-রহস্য ভেদ করতে হবে জিজ্ঞাসাবাদ

বুধবার গভীর রাতে কুলতলিকাণ্ডের মূল পাণ্ডা সাদ্দাম সর্দারকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার বেলায় সাংবাদিক বৈঠক করে বারুইপুরের পুলিশ সুপার জানান, সাদ্দামকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে।

আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১৮ জুলাই ২০২৪ ১২:৪০
ধৃত সাদ্দাম সর্দার।

ধৃত সাদ্দাম সর্দার। —নিজস্ব চিত্র।

লোকচক্ষুর অন্তরালে গিয়েও শেষরক্ষা হয়নি। বুধবার গভীর রাতে কুলতলিকাণ্ডের মূল পাণ্ডা সাদ্দাম সর্দারকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার বেলায় একটি সাংবাদিক বৈঠক করে বারুইপুরের পুলিশ সুপার (এসপি) পলাশচন্দ্র ঢালি জানান, পুলিশের উপর হামলা চালানোর ঘটনায় এখনও পর্যন্ত সাদ্দাম-সহ মোট পাঁচ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। সাদ্দামের ভাই সায়রুল-সহ আরও বেশ কয়েক জনের খোঁজে তল্লাশি চালাচ্ছে পুলিশ।

বৃহস্পতিবার এসপি জানান, গোপন সূত্রে খবর পেয়ে সাদ্দামকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। কুলতলির ঝুপড়িঝাড়ার বানীরধল এলাকায় একটি মাছের ভেড়ির আলাঘর থেকে গ্রেফতার করা হয় তাঁকে। সাদ্দামের পাশাপাশি ওই ভেড়ির মালিক তথা কুলতলির সিপিএম নেতা মান্নান খানকেও গ্রেফতার করা হয়েছে। সাদ্দামের বিরুদ্ধে যে প্রতারণাচক্র চালানোর অভিযোগ উঠেছে, তাতে মান্নানও যুক্ত ছিলেন বলে বৃহস্পতিবার জানিয়েছে পুলিশ। অতীতেও মান্নানের বিরুদ্ধে একাধিক অপরাধমূলক কাজে যুক্ত থাকার অভিযোগ উঠেছে বলে জানান পুলিশ সুপার।

সাদ্দামের বাড়িতে থাকা সুড়ঙ্গ কী কাজে ব্যবহৃত হত, এই প্রশ্নের উত্তরে পুলিশ সুপার জানান, জিজ্ঞাসাবাদের পরেই এই বিষয়ে সুস্পষ্ট তথ্য জানা যাবে। বৃহস্পতিবারই আদালতে পেশ করা হবে সাদ্দামকে। পুলিশ তাঁকে নিজেদের হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করার জন্য আদালতের কাছে অনুমতি চাইবে বলে জানিয়েছেন এসপি।

কুলতলির জালাবেড়িয়া-২ পঞ্চায়েতের পয়তারহাটের বাসিন্দা সাদ্দামের বিরুদ্ধে অনেক দিন ধরেই প্রতারণার অভিযোগ। এর আগেও এ রকম একাধিক অভিযোগের ভিত্তিতে তাঁকে এক বার গ্রেফতার করেছিল পুলিশ। গত সোমবার সাদ্দামের পয়তারহাটের বাড়িতে অভিযানে যায় পুলিশ। সাদ্দামকে ধরে ফেলে তারা। এর পরেই বাড়ি এবং আশপাশের মহিলারা পুলিশকে ঘিরে ধরে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন। সাদ্দামের ভাই সাইরুল পুলিশকে নিশানা করে গুলিও চালান বলে অভিযোগ। এই সুযোগে পুলিশের হাত থেকে পালিয়ে যান সাদ্দাম এবং সাইরুল। সাদ্দামের স্ত্রী রাবেয়া সর্দার এবং মাসুদা সর্দার নামে আরও এক মহিলাকে সরকারি কাজে বাধা দেওয়া এবং পুলিশের উপর হামলার অভিযোগ গ্রেফতার করা হয়।

বৃহস্পতিবার পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে, গত ১ জুলাই জয়নগর থানায় ১২ লক্ষ টাকা প্রতারণার অভিযোগ দায়ের হয়েছিল। সেই মামলার তদন্তে নেমে সাদ্দামের নাম উঠে আসে। প্রতারণাচক্রে ছিলেন মোট ১২ থেকে ১৪ জন। তবে তদন্তের খাতিরে সকলের নাম প্রকাশ্যে আনতে চাননি এসপি। তিনি জানিয়েছেন, পুরনো প্রতারণার মামলা এবং পুলিশের উপর হামলা চালানোর মামলা— দু’টিতেই গ্রেফতার করা হয়েছে সাদ্দামকে।

Kultali Fraud Case
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy