ইলিশের আমদানি বেশি থাকলেও দাম ঠিক নাগালে আসছিল না দিন কয়েক আগেও। কিন্তু সপ্তাহ খানেক হল বদলেছে পরিস্থিতি। হিমঘরে মাছ ঢোকা কমতেই খুচরো বাজারে হু হু করে ইলিশের দর নামতে শুরু করেছে।
মৎস্যজীবীরা এবং ইলিশ ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত পাইকার, আড়তদাররা জানাচ্ছেন, জোগান একইরকম থাকলে আগামী সপ্তাহের দিকে দাম আরও খানিকটা কমবে। স্টোরে ঢোকার মতো বড় সাইজের মাছে টান পড়তেই খুলে গিয়েছে কম পয়সায় ইলিশ খাওয়ার রাস্তা।
দীর্ঘদিনের খরা কাটিয়ে হঠাৎই প্রচুর ইলিশ মিলতে শুরু করেছিল কয়েকদিন আগেও। কিন্তু বেশির ভাগ মাছ ঢুকে যাচ্ছিল হিমঘরে। খুচরো বাজারে গিয়ে এতদিন নাগালের মধ্যে তা পাচ্ছিলেন না আমজনতা। প্রমাণ সাইজের ইলিশের দর ৫০০ থেকে ৬০০ টাকার মধ্যে ঘোরাফেরা করছিল। বর্ষা পড়লেও বাজার ঘুরে হাত কামড়াতে হচ্ছিল অনেককেই। কিন্তু এখন সেই ইলিশই ৩০০ টাকায় নেমে এসেছে। প্রায় এক সপ্তাহ হয়ে গেল হিমঘরে মাছ প্রায় ঢুকছেই না। মৎস্যজীবী এবং আড়তদাররা। কাকদ্বীপের ট্রলার মালিক সংগঠনের দুই নেতা বিজন মাইতি এবং সতীনাথ পাত্ররা বলেন, ‘‘বড় সাইজের মাছ একটু কমলেও মাছের সাইজ ৫০০ থেকে ৭০০ গ্রামের মধ্যে মিলছে। হিমঘর প্রায় ভর্তি তাই এখন পাইকাররা এবং হিমঘর মালিকরা ইলিশ কম তুলছে।’’
দক্ষিণ ২৪ পরগনা থেকে আমদানি হওয়া মাছ হিমঘরে ঢোকার প্রবণতা অনেকটাই কমেছে। তার ফলে খুচরো বাজারে উপচে পড়ছে মাছ। গত চার-পাঁচ বছরের মধ্যে ইলিশের দর কখনও এতটা নামেনি। ভিন্রাজ্য থেকেও ইলিশ কলকাতা এবং শহরতলির বড় বাজারগুলিতে ঢুকছে বলে জানাচ্ছেন ব্যবসায়ীরা।
ডায়মন্ড হারবার নগেন্দ্র বাজারের আড়ৎদার দিলীপ দাস বলেন, ‘‘স্টোরে মাছ কম ঢুকছে, গত পরশু সাড়ে তিনশো থেকে চারশো টাকায় অকশন হয়েছে। রবিবার তা ২২০ টাকা পাইকারি দর হয়েছে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy