E-Paper

সদ্য তৈরি হওয়া রাস্তায় ধস, ঠিকাদারকে ঘিরে বিক্ষোভ

প্রধানমন্ত্রী গ্রামীণ সড়ক যোজনায় ওই এলাকায় একটি পাকা রাস্তা তৈরি হচ্ছে। কাজ সম্পূর্ণ হওয়ার আগেই ৫০০ মিটার অংশ ধসে যায়। এর জেরে সোমবার ঠিকাদারকে ঘিরে বিক্ষোভ দেখান এলাকার মানুষ।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০৫ এপ্রিল ২০২৩ ০৮:৫৫
A Photograph of a road

ধস নামা অংশে মাটির প্রলেপ দেওয়া হচ্ছে। নিজস্ব চিত্র।

কাজ চলাকালীনই ধস নামল সদ্য তৈরি হওয়া রাস্তায়।

সাগরের রামকরচক পঞ্চায়েতের কৃষ্ণনগর এলাকার ঘটনা। স্থানীয় সূত্রের খবর, প্রধানমন্ত্রী গ্রামীণ সড়ক যোজনায় ওই এলাকায় একটি পাকা রাস্তা তৈরি হচ্ছে। কাজ সম্পূর্ণ হওয়ার আগেই পাঁচ কিলোমিটার রাস্তার ৫০০ মিটার অংশ ধসে যায়। এর জেরে সোমবার ঠিকাদারকে ঘিরে বিক্ষোভ দেখান এলাকার মানুষ।

স্থানীয় সূত্রের খবর, কৃষ্ণনগর বাজার থেকে সামন্ত পাড়া পর্যন্ত রাস্তাটির কাজ শুরু হয়েছিল গত বছর এপ্রিল মাসে। কিছু দিনের মধ্যেই কাজ শেষ হওয়ার কথা। বাসিন্দারা জানান, কৃষ্ণনগরের এই এলাকায় রাস্তা তৈরির আগে পাশের নয়ানজুলির ধার বরাবর বাঁধিয়ে নেওয়ার কথা। কিন্তু এ ক্ষেত্রে কাজ শেষ হওয়ার পরে নয়ানজুলি বাঁধানো হয়। যার ফলেই রাস্তা তৈরির কয়েক মাসের মধ্যেই ওই অংশে ধস নামে বলে অভিযোগ। ঠিকাদারের কাছে অবিলম্বে রাস্তা মেরামতির দাবি জানান বাসিন্দারা।

বিক্ষোভের জেরে ওই দিনই মেরামতির কাজ শুরু করেন ঠিকাদার। রাস্তার ফাটলগুলিতে সিমেন্টের প্রলেপ দেওয়া হয়। নয়ানজুলির ধার বরাবর মাটির প্রলেপ দেওয়া হয়। কিন্তু মেরামতির কাজ ঠিক মতো হচ্ছে না অভিযোগ তুলে ফের কাজ বন্ধ করে দেন এলাকাবাসী।

স্থানীয় বাসিন্দা কৃষ্ণ দাস বলেন, “কাজ ঠিক হচ্ছে না দেখে সে সময়েই আমরা প্রতিবাদ করেছিলাম। তখন ঠিকাদার বলেছিলেন, কোনও সমস্যা হবে না। কিন্তু ক’দিন বৃষ্টি হতেই ধস নেমেছে। একটানা বৃষ্টি হলে রাস্তার অবস্থা কী হবে!” আর এক বাসিন্দা অধীরকুমার শিট বলেন, “রাস্তার পাশে শাল-বল্লা দিয়ে বাঁধানোর কথা। তার বদলে বাঁশ দিয়ে বাঁধানো হয়েছে। রাস্তার গোড়া থেকে মাটি তুলে নিয়ে কাজ করছে। যার ফলে ধস নেমেছে।” ঠিকাদার ব্রজেন্দ্রনাথ মিদ্দা বলেন, “রাস্তার পাশ থেকে মাটি তুলে নেওয়া হয়েছিল। ক’দিন ভারী বৃষ্টির ফলে ফাটল দেখা যায়। ওই অংশগুলি মেরামতি করে দিয়েছি। রাস্তার কাজ এখনও শেষ হয়নি। কাজ শেষের পর পাঁচ বছর মেরামতির কাজও চলবে।” রাস্তার কাজে দুর্নীতির অভিযোগ তুলেছেন এলাকার মানুষ। সেই অভিযোগ মানেননি ঠিকাদার।

এ বিষয়ে জেলা পরিষদের সদস্য সন্দীপ পাত্র বলেন, “বিষয়টি দফতরের ইঞ্জিনিয়ারকে জানানো হয়েছে। তিনি এসে রাস্তার কাজ খতিয়ে দেখবেন।” সাগরের বিডিও সুদীপ্ত মণ্ডল বলেন, “বিষযটি খোঁজ নিয়ে জেলার গ্রামীণ সড়ক যোজনার দফতরে জানাব।”

(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)

road construction Protest

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy