—প্রতীকী চিত্র।
দাঁড়িয়ে থাকা গাড়ির পিছনে বেপরোয়া বাসের ধাক্কায় জখম হলেন গাড়িতে থাকা দুই শিশু-সহ তিন জন। রবিবার দুপুরে ঘটনাটি ঘটেছে বারুইপুরের যোগীবটতলা এলাকায়। এই ঘটনার পরে বাসে ভাঙচুর চালায় উত্তেজিত জনতা। পথ নিরাপত্তার দাবিতে রাস্তা অবরোধ করে বেশ কিছু ক্ষণ বিক্ষোভও চলে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রের খবর, বাসন্তীর ঝড়খালি এলাকার বাসিন্দা, পেশায় আইনজীবী সমর বিশ্বাস তাঁর স্ত্রী শ্যামলী, বছর দশেকের ছেলে অঙ্কিত ও বছর ছ’য়েকের ভাইঝি দ্যুতিকে নিয়ে বারুইপুরে এসেছিলেন। যোগীবটতলা এলাকায় একটি কলেজে পরীক্ষার আসন পড়েছিল শ্যামলীর। তিনি পরীক্ষা দিতে চলে গেলে রাস্তার ধারে গাড়ি রেখে সেটির মধ্যেই ছেলে এবং ভাইঝিকে নিয়ে বসে ছিলেন সমর। সেই সময়ে বারুইপুর-বারাসত রুটের একটি বাস নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে পিছন থেকে ধাক্কা মারে গাড়িটিকে। বাসের ধাক্কায় দাঁড়ানো গাড়িটি ছিটকে সামনে একটি বাড়ির দেওয়ালে ধাক্কা মারে। দু’দিক থেকেই তুবড়ে যায় গাড়িটি। স্থানীয় বাসিন্দারা জানলার কাচ ভেঙে সমর, অঙ্কিত ও দ্যুতিকে উদ্ধার করেন। দ্যুতির হাতে ও পায়ে চোট লাগে। আহত হন সমর, অঙ্কিতও। তাঁদের বারুইপুর মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। প্রাথমিক চিকিৎসার পরে তাঁদের ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।
এ দিকে, ঘটনার পরে বাসটিকে আটকে রেখে ভাঙচুর চালায় উত্তেজিত জনতা। চালক পালিয়ে যান। বাসিন্দারা জানান, ওই এলাকায় বেপরোয়া বাস চলাচলের জেরে দুর্ঘটনায় গত
ছ’মাসে দু’জনের মৃত্যু হয়েছে। পুলিশের কাছে যানবাহনের গতি নিয়ন্ত্রণের দাবি জানানো হয়েছিল। বিক্ষোভও হয়। পুলিশ প্রতিশ্রুতি দিলেও তা পূরণ হয়নি। অভিযোগ, মাস কয়েক আগে দুর্ঘটনায় এক মহিলার মৃত্যুর পরে গতি নিয়ন্ত্রণে হাম্প বসানো হয়েছিল। পরে ওই পথে এক নেতা আসায় তা তুলে ফেলা হয়। হাম্প তুলে ফেলার পরে, মাস দু’য়েক আগে দুর্ঘটনায় এক যুবক মারা যান। এ দিন ফের দুর্ঘটনা ঘটল। গতি নিয়ন্ত্রণের দাবিতে এ দিন পথ অবরোধ করে বিক্ষোভ চলে। পরে পুলিশ গিয়ে অবরোধ তুলে দেয়। পুলিশ জানিয়েছে, গতি নিয়ন্ত্রণে পদক্ষেপ করা হচ্ছে।
এ দিকে, বাসে ভাঙচুর চালাতে গিয়ে কাচের আঘাতে হাত কাটে এক যুবকের। তাঁকে বারুইপুর মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy