Advertisement
E-Paper

কবে শুরু হবে ড্রেজিং, প্রশ্ন সাগরে

গঙ্গাসাগর মেলার জন্য গত বছর ড্রেজিং শুরু হয়েছিল ডিসেম্বর মাসে। দেরিতে কাজ শুরু হওয়ার জন্য মেলা-ফেরত যাত্রীদের ভিড় নিয়ন্ত্রণহীন ভাবে বেড়ে গিয়েছিল কচুবেড়িয়ায়। পদপিষ্ট হয়ে মারা যাওয়ার অভিযোগ ওঠে ভিনরাজ্যের ৬ তীর্থযাত্রীর ক্ষেত্রে।

শান্তশ্রী মজুমদার

শেষ আপডেট: ২৫ নভেম্বর ২০১৭ ০১:৫০
চরা: কবে হবে ড্রেজিং? নিজস্ব চিত্র

চরা: কবে হবে ড্রেজিং? নিজস্ব চিত্র

গঙ্গাসাগর মেলার জন্য গত বছর ড্রেজিং শুরু হয়েছিল ডিসেম্বর মাসে। দেরিতে কাজ শুরু হওয়ার জন্য মেলা-ফেরত যাত্রীদের ভিড় নিয়ন্ত্রণহীন ভাবে বেড়ে গিয়েছিল কচুবেড়িয়ায়। পদপিষ্ট হয়ে মারা যাওয়ার অভিযোগ ওঠে ভিনরাজ্যের ৬ তীর্থযাত্রীর ক্ষেত্রে।

রাজ্য সরকার তা স্বীকার না করলেও এ বছর মেলার জন্য দু’টি গুরুত্বপূর্ণ প্রশাসনিক সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল অনেক আগেই। গঙ্গাসাগর এবং কচুবেড়িয়া থেকে দু’দিকেই দু’কিলোমিটার করে রাস্তা চওড়া করা হবে এবং নভেম্বরের শুরুতেই ড্রেজিং শুরু হবে। কিন্তু ন‌ভেম্বর শেষ হতে চলল, মুড়িগঙ্গায় এখনও ড্রেজিংয়ের কাজ শুরু করা গেল না। সময়ে কাজ শেষ হওয়া নিয়ে স্বাভাবিক ভাবে চিন্তা বাড়ছে সব মহলেই।

জেলার অতিরিক্ত জেলাশাসক (সাধারণ) শ্যামল মণ্ডল বলেন, ‘‘কেন্দ্রীয় সরকারের আন্তর্দেশীয় জলপথ কর্তৃপক্ষ এ বারও ড্রেজিংয়ের কাজ করবে। তাদের টেন্ডার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। চেষ্টা করা হচ্ছে, নভেম্বরের মধ্যেই যাতে কাজ শুরু করে দেওয়া যায়।’’ জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, কেন্দ্রীয় সরকারের ওই সংস্থাকে রাজ্য সরকার বরাত দেয়। কিন্তু তারা টেন্ডার প্রক্রিয়া শুরু করলেও তাতে পর্যাপ্ত সংখ্যক ঠিকাদার যোগ দেননি। সে জন্যই কাজ ইতিমধ্যেই সপ্তাহ তিনেক পিছিয়ে গিয়েছে। জেলা আধিকারিকেরা জানিয়েছেন, কেন্দ্রীয় সংস্থা তার মধ্যে থেকেই যে কোনও এক ঠিকাদারকে বাছাইয়ের দিকে এগোচ্ছে। কারণ, নতুন‌ করে টেন্ডার প্রক্রিয়া শুরু করতে গেলে ড্রেজিংয়ের কাজ আরও পিছিয়ে যেতে পারে।

গত বছর লট ৮ ঘাটেই ছোট-বড় মিলিয়ে ৫টি ড্রেজার লাগাতে হয়েছিল। গত বছরেও ভাটার সময় প্রায় তিন থেকে সাড়ে তিন ঘণ্টা করে বন্ধ ছিল ফেরি পরিষেবা। সে জন্যই মেলা শেষে ফেরার পথে ভিড় অস্বাভাবিক হারে বেড়ে গিয়েছিল কচুবেড়িয়ায়। এ বছর গত বছরের থেকে প্রায় দ্বিগুণ বেশি পলি কাদা তোলার বরাত দেওয়া হচ্ছে ওই কেন্দ্রীয় সংস্থাকে। অথচ তিন সপ্তাহ পেরিয়ে গিয়েছে। জেলা সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রায় ৫ লক্ষ কিউবিক মিটার পলি কাদা তোলার লক্ষ্যমাত্রা ধার্য হয়েছে। কাকদ্বীপের লট ৮ ঘাটে চড়া পরে সব থেকে বেশি। ১ নম্বর থেকে ৫ নম্বর ঘাটের মাঝখানে বিশাল চড়া এ বার আরও বেড়েছে। তাই এ বার গত বছরের তুলনায় প্রায় দ্বিগুণ পলিমাটি তোলার কাজ করতে হবে।

এ বার কাজের সময় কমে আসায় আরও বেশি করে ড্রেজার না লাগালে কাজ সময়ে শেষ হবে না। সাগরের বিধায়ক বঙ্কিম হাজরা বলেন, ‘‘জেলাশাসকের সঙ্গে বিষয়টি নিয়ে বৈঠক করছি। মেলার আগে ড্রেজিংয়ের কাজ মোটামুটি ভাবে শেষ করে ফেলার লক্ষ্য নিয়ে এগোনো হচ্ছে।’’

Sagar Dredging
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy