Advertisement
২৯ নভেম্বর ২০২৩
Duttapukur Blast

দত্তপুকুরে বাজি বিস্ফোরণকাণ্ডে গ্রেফতার ‘আইএসএফ নেতা’ রমজান আলি, পুলিশি হেফাজত ১০ দিনের

সোমবার আদালতে রমজানের আইনজীবী সাইদুজ্জমান দাবি করেন, বিস্ফোরণের ঘটনার সঙ্গে তাঁর মক্কেলের কোনও যোগ নেই। তাঁকে মিথ্যা অভিযোগে ফাঁসানো হচ্ছে।

—নিজস্ব চিত্র।

আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা
দত্তপুকুর শেষ আপডেট: ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২৩ ১৭:৪১
Share: Save:

উত্তর ২৪ পরগনার দত্তপুকুরে বাজি বিস্ফোরণকাণ্ডের অন্যতম অভিযুক্ত রমজান আলিকে গ্রেফতার করল দত্তপুকুর থানার পুলিশ। সোমবার তাঁকে বারাসাত আদালতে হাজির করানো হয়। বিচারক ১০ দিনের পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছেন।

মাসখানেক আগে দত্তপুকুরের নীলগঞ্জে বেআইনি বাজি কারখানায় বিস্ফোরণের ঘটনায় ন’জনের প্রাণ গিয়েছিল। ঘটনার দিন থেকেই রাজ্যের খাদ্যমন্ত্রী রথীন ঘোষ দাবি করেছিলেন, এই বাজি কারবারিদের আশ্রয় দেয় আইএসএফ নেতা রমজান। পরে বারাসত পুলিশ জেলার সুপার ভাস্কর মুখোপাধ্যায়ও জানান, আইএসএফের ব্লক স্তরের নেতা রমজানের খোঁজ চালানো হচ্ছে। পুলিশ সূত্রে খবর, অবশেষে তাঁকে কদম্বগাছি থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে। গ্রেফতারির পর ভাস্কর বলেন, ‘‘ঘটনার পর থেকেই পালিয়ে বেড়াচ্ছিল রমজান। আমরা বিভিন্ন জায়গায় তল্লাশি চালাই। এক বার শোনা গিয়েছিল, রমজান পূর্ব মেদিনীপুর পালিয়ে গিয়েছে। আমাদের টিম সেখানেও যায়। কিন্তু রমজান সেখানে ছিল না। গতকাল রাতে গোপন সূত্রে খবর পেয়ে আমরা কদম্বগাছি থেকে রমজানকে গ্রেফতার করি। রমজান এই ঘটনার সঙ্গে সরাসরি যুক্ত বলে প্রাথমিক তদন্তের ভিত্তিতে এমনটাই ধারণা আমাদের।’’ যদিও সোমবার আদালতে রমজানের আইনজীবী সাইদুজ্জমান দাবি করেন, বিস্ফোরণের ঘটনার সঙ্গে তাঁর মক্কেলের কোনও যোগ নেই। তাঁকে মিথ্যা অভিযোগে ফাঁসানো হচ্ছে।

বিস্ফোরণের পর থেকেই গ্রামবাসীদের মুখে শোনা যাচ্ছিল তৃণমূল নেতা আজিবর রহমানের নাম। তিনি এ বার পঞ্চায়েত ভোটে এলাকায় দলের প্রচারের দায়িত্বে ছিলেন। অনেকেরই দাবি, বেআইনি বাজি কারখানা চালানোর মূল মাথা আজিবরই। তাঁকে গ্রেফতারের দাবিও ওঠে। সেই সময় শাসকদলের পক্ষ থেকেও রমজানের নাম তোলা শুরু হয়। বারাসতের তৃণমূল সাংসদ কাকলি ঘোষ দস্তিদার দাবি করেন, স্থানীয় পঞ্চায়েতে আইএসএফ জেতার পর থেকেই বেআইনি কারবারের রমরমা শুরু হয়। যদিও রমজানের পরিবারের দাবি ছিল, তাঁকে ফাঁসানো হচ্ছে। আইএসএফ রাজ্য সহ-সভাপতি তাপস বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছিলেন, “রমজানের বাড়িতে ভোটের সময় আমাদের দলীয় কার্যালয় হয়েছিল। ঘটনার পরে আমি এবং নওশাদ সিদ্দিকি যখন যাই, তখনও রমজান আমাদের সঙ্গে ছিলেন। তৃণমূলের মন্ত্রী রমজানের নাম নিতেই পুলিশ খু্ঁজতে শুরু করেছে।”

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
Follow us on: Save:
Advertisement

Share this article

CLOSE