অশোকনগরে মহিলাদের ফুটবলের ফাইনাল খেলার একটি দৃশ্য। —নিজস্ব চিত্র।
আটটি দলকে নিয়ে অশোকনগরের একটি সংগঠনের উদ্যোগে ‘লক্ষ্মী চক্রবর্তী সেন্টিনারি মহিলা ফুটবল প্রতিযোগিতা’র আসর বসেছিল এখানকার বিধানচন্দ্র রায় ক্রীড়াঙ্গনে। রবিবার ফাইনালে দর্শক ঠাসা মাঠে হাবড়া গার্লস ফুটবল অ্যাকাডেমি হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ের পরে টাইব্রেকারে হারিয়ে দেয় দত্তপুকুরের জাগ্রত সঙ্ঘকে।
১৫ জুলাই থেকে শুরু হয়েছিল প্রতিযোগিতা। জেলা ছাড়াও যোগ দিয়েছিল কলকাতার দলও। রবিবাসরীয় বিকেলে চূড়ান্ত পর্বের খেলায় দু’টি দলের হয়েই গলা ফাটান দর্শকেরা। প্রথমার্ধে খেলার রাশ ছিল দত্তপুকুরের খেলোয়াড়দের পায়ে। প্রথমার্ধেই দত্তপুকুরের হয়ে গোল করেন শ্বেতা কুণ্ডু। দ্বিতীয়ার্ধের খেলা শেষ হওয়ার ৯ মিনিট আগে বিপক্ষের বক্সে বিপক্ষ খেলোয়াড়ের হাতে বল লাগায় পেনাল্টি পায় হাবড়ার দলটি। পেনাল্টিতে রাখি রায় গোল করে খেলায় সমতা ফেরান। ম্যাচ গড়ায় টাইব্রেকারে।
দত্তপুকুর জাগ্রত সঙ্ঘের হয়ে খেলতে আসা মামণি দাস ও অপর্ণা দে বয়সভিত্তিক ফুটবল প্রতিযোগিতায় দেশের হয়ে খেলেছেন। ওই দলের হয়ে ফাইনালে সাথী দেবনাথ, মৌ চক্রবর্তী, তনুশ্রী পাত্র, অলি দত্ত, সঞ্চিতা ওরাংয়ের খেলাও দর্শকদের নজর কেড়েছে।
প্রতিযোগিতার সেরা গোলকিপার নির্বাচিত হন হাবড়ার দলের ঐন্দ্রিলা কর। প্রতিযোগিতার সেরা খেলোয়াড় হন ঐন্দ্রিলার সতীর্থ মুন্না হালদার। ফাইনালে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন প্রাক্তন ফুটবলার সমরেশ চৌধুরী। আয়োজক সংগঠনের সম্পাদিকা পৌলোমী ঘোষ বলেন, ‘‘খেলাধুলোর মাধ্যমে মহিলারাও যে সমাজে এগিয়ে যেতে পারেন, তাঁরাও যে সমাজে ক্ষমতার অধিকারী হতে পারেন, তা তুলে ধরতেই এই আয়োজন।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy