এ ভাবেই চলে যাতায়াত। ছবি: সুদীপ ঘোষ
পাকা সেতুর দাবিতে বিক্ষোভ দেখালেন শতাধিক গ্রামবাসী। ঘণ্টা দু’য়েক ধরে চলে বিক্ষোভ। শনিবার ঘটনাটি ঘটেছে বারাসত ২ ব্লকের ফলতি বেলিয়াঘাটা পঞ্চায়েতের শিমুলগাছি গ্রামে।
স্থানীয় সূত্রের খবর, দেগঙ্গা ও বারাসত ২ ব্লকের মধ্যে দিয়ে সুন্দরবন এলাকায় ঢুকেছে বিদ্যাধরী নদী। চাষিদের জন্য সেচের ব্যবস্থা করতে প্রায় একশো বছর আগে ৪০ ফুট চওড়া খাল কাটা হয়। পরে বিদ্যাধরী নদীর সঙ্গে যুক্ত করা হয় খালটি। গ্রামের প্রবীণ বাসিন্দারা জানিয়েছেন, সে সময়ে গ্রামের মানুষের যাতায়াতের জন্য শিমুলগাছি গ্রামে খালের উপরে একটি কাঠের সাঁকো তৈরি করা হয়। বয়সের ভারে এবং সংস্কারের অভাবে সেটির অবস্থা খারাপ। কাঠ পচে গিয়ে ভাঙছে। নড়বড়ে হয়েছে খুঁটি। গ্রামবাসীদের দাবি, ভাঙা সাঁকোর উপর দিয়ে ঝুঁকি নিয়ে পারাপার করার সময়ে একাধিক দুর্ঘটনাও ঘটেছে। বিদ্যাধরী খালের উপরে পাকা সেতুর দাবি জানিয়েছেন তাঁরা।
শিমুলগাছি, কিরিসপুর, জাফরপুর ও বকুন্ডা গ্রামের কয়েক হাজার মানুষ এই সাঁকোর উপর দিয়ে যাতায়াত করেন। স্থানীয় বাসিন্দা মুরাদ হোসেন বলেন, "দীর্ঘ দিন ধরে পাকা সেতুর দাবিতে পঞ্চায়েত থেকে শুরু করে জেলা প্রশাসনের দরজায় দরজায় ঘুরছি। সব জায়গাতেই আশ্বাস মেলে। কিন্তু কাজের কাজ হয় না।" বিপুল ইসলাম, মেহদি হাসান বলেন, "বেহাল সাঁকো বেশ কয়েক বার গ্রামবাসীরা সংস্কার করেছেন। কিন্তু বছর ঘুরতেই সেই সব বাঁশ-খুঁটি নষ্ট হয়ে যায়। বর্তমানে মোটর বাইক বা সাইকেল নিয়ে যাতায়াত করা তো দূরের কথা, হেঁটেও পারাপার করা ঝুঁকির হয়ে উঠেছে। পাকা সেতু না থাকায় পাঁচ কিলোমিটার ঘুরে যাতায়াত করতে হয়।" গৃহবধূ আমেনা খাতুন, মরিয়ম বিবিরা বলেন, "ছোট ছেলেমেয়েরা ওই পথে স্কুলে যেতে ভয় পায়।"
হাড়োয়ার বিধায়ক নুরুল ইসলাম বলেন, "গ্রামবাসীদের দাবি ন্যায্য। শনিবারই স্থানীয় বাসিন্দারা আমার কাছে পাকা সেতুর দাবিতে লিখিত আবেদন করেছেন। আবেদনপত্রটি সেচমন্ত্রী পার্থ ভৌমিকের কাছে পাঠিয়ে দেব। যাতে পাকা সেতু তৈরি হয়, সেই চেষ্টা করব।"
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy