Advertisement
E-Paper

হস্তান্তরের ঢিলেমি, আটকে রাস্তা-সংস্কার

অর্ধেক জেলা পরিষদের। বাকি অর্ধেক রাজ্যের পূর্ত দফতরের। কিন্তু জেলা পরিষদ অর্থাভাবে নিজের অংশটুকু সারাতে পারবে না বলে জানিয়েছিল। পাশাপাশি আবেদন করেছিল রাজ্য পূর্ত দফতরই যাতে পুরো রাস্তাটি সারিয়ে দেয়। সেই প্রস্তাব দিলেও, গড়িয়ে গিয়েছে মাসের পর মাস। কিন্তু জেলা পরিষদ পূর্ত দফতরকে রাস্তার মালিকানা হস্তান্তর করেনি। ফলে দক্ষিণ ২৪ পরগনার ডাকঘর থেকে সাঁজুয়া পর্যন্ত রাস্তার বেহাল দশা আরও খারাপ হচ্ছে।

দীক্ষা ভুঁইয়া

শেষ আপডেট: ০৮ অগস্ট ২০১৫ ০০:৫১
এখনও সারানো হয়নি রাস্তা। —নিজস্ব চিত্র।

এখনও সারানো হয়নি রাস্তা। —নিজস্ব চিত্র।

অর্ধেক জেলা পরিষদের। বাকি অর্ধেক রাজ্যের পূর্ত দফতরের। কিন্তু জেলা পরিষদ অর্থাভাবে নিজের অংশটুকু সারাতে পারবে না বলে জানিয়েছিল। পাশাপাশি আবেদন করেছিল রাজ্য পূর্ত দফতরই যাতে পুরো রাস্তাটি সারিয়ে দেয়। সেই প্রস্তাব দিলেও, গড়িয়ে গিয়েছে মাসের পর মাস। কিন্তু জেলা পরিষদ পূর্ত দফতরকে রাস্তার মালিকানা হস্তান্তর করেনি। ফলে দক্ষিণ ২৪ পরগনার ডাকঘর থেকে সাঁজুয়া পর্যন্ত রাস্তার বেহাল দশা আরও খারাপ হচ্ছে।

কিন্তু কেন? জেলা প্রশাসন সূত্রের খবর, প্রায় ১৩ কিলোমিটার দীর্ঘ রাস্তার একাংশ জেলা প্রশাসনের। অন্য অংশ রাজ্য পূর্ত দফতরের হাইওয়ে ডিভিশনের। পুরো রাস্তাটি সারাই করতে খরচ হবে প্রায় ৩০ কোটি টাকার মতো। সেক্ষেত্র অর্ধেক রাস্তার মেরামতিতে প্রায় ১৫ কোটি টাকার মতো খরচ করতে হবে জেলা প্রশাসনের। কিন্তু এই মুহূর্তে জেলা প্রশাসনের হাতে ওই রাস্তা সারানোর পর্যাপ্ত টাকা নেই। তাই তারা পূর্ত দফতরকে রাস্তা সারাইয়ের জন্য অনুরোধ করে। কিন্তু তার জন্য পূর্ত দফতরকে রাস্তার ওই অংশ হস্তান্তর করা জরুরি। কিন্তু জেলা প্রশাসন সেই কাজটুকুও করতে পারেনি।
আর সেই গড়িমসির কারণে আটকে রয়েছে রাস্তা সারাইয়ের মতো গুরুত্বপূর্ণ কাজটি।

জেলা সভাধিপতি শামিমা শেখ সারাইয়ের পর্যাপ্ত টাকা না থাকার কথা স্বীকার করে নিয়েছেন। তিনি জানান, রাস্তাটির অবস্থা খুব খারাপ এবং তাড়াতাড়ি সারানোরও প্রয়োজন রয়েছে। কিন্তু টাকার অভাব থাকায়, তাঁরা পূর্ত দফতরকে কাজটি করার কথা জানিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘‘আমরা পূর্ত দফতরকে বলেছি কাজটা করে দিতে। ওরা আমাদের আবেদনে রাজিও হয়েছে।’’

যদিও পূর্ত দফতরের একটি সূত্র জানাচ্ছে, অনেক আগে এই হস্তান্তরের কাজ হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু জেলা প্রশাসন তা না করায় কাজ আটকে রয়েছে। অবশ্য পূর্ত দফতরের এই দাবি স্বীকার করতে রাজি হননি শামিমা শেখ। তিনি জানান, হস্তান্তরের অনেক নিয়ম-কানুন রয়েছে। সেই প্রক্রিয়াই চলছে।

Dakghor Sajua Road damaged samima shek
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy