ফেরানো: হারানো ল্যাপটপ দেওয়া হচ্ছে। নিজস্ব চিত্র
চম্পাহাটি থেকে লোকাল ট্রেনে করে বালিগঞ্জ যাচ্ছিলেন চম্পাহাটি সুশীল কর কলেজের শারীরশিক্ষা বিভাগের শিক্ষক নাসিম আহমেদ। শনিবার সকালে। তাঁর সঙ্গে ছিল কালো রঙের একটি ব্যাগ।
ব্যাগে ছিল বিএ ও বিএসসির প্র্যাকটিক্যাল পরীক্ষার খাতা, একটি ল্যাপটপ, পেনড্রাইভ, ভোটার কার্ড, ড্রাইভিং লাইসেন্স, কলেজ ও বাড়ির আলমারির চাবি-সহ বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ নথি। ব্যাগটি নাসিম ট্রেনের কামরার বাঙ্কে রেখেছিলেন। ট্রেনে ভিড় ছিল। বারবার তিনি ব্যাগের দিকে নজরও রাখছিলেন।
কিন্তু বালিগঞ্জ স্টেশনে নামবার আগে তিনি খেয়াল করেন, বাঙ্কে ব্যাগ নেই! মাথায় আকাশ ভেঙে পড়ে তাঁর। নেমেই স্টেশন মাস্টারের কাছে ছুটে যান নাসিম। মাইকে ঘোষণাও করা হয়। কিন্তু ব্যাগের হদিস মেলে না। নাসিম বালিগঞ্জ জিআরপিতেও অভিযোগ করেন।
শনিবার বিকেল সাড়ে পাঁচটা নাগাদ বনগাঁ আরপিএফ-এর হেড কনস্টেবল শুভাশিস মুখোপাধ্যায় বনগাঁ রেল স্টেশনে টহল দিচ্ছিলেন। তাঁর নজরে আসে ফাঁকা একটি ট্রেনের কামরার বাঙ্কে একটি ব্যাগ রয়েছে। তিনি সেটি নিয়ে ব্যারাকে আসেন। ব্যাগ থেকে পাওয়া মোবাইল ঘেঁটে একটি ফোন নম্বরে ফোন করে তিনি নাসিমের সঙ্গে যোগাযোগ করেন। তাঁকে আশ্বস্ত করে শুভাশিসবাবু জানান, ব্যাগটি তাঁদের কাছে নিরাপদে আছে। ব্যাগ নাসিমকে এসে নিয়ে যাওয়ার কথা বলা হয়।
রবিবার সকালে নাসিম বনগাঁ স্টেশনে আরপিএফ দফতরে আসেন। শুভাশিসবাবু-সহ আরপিএফের অন্য আধিকারিকেরা তাঁর হাতে ব্যাগটি তুলে দেন। গোটা ঘটনায় শিক্ষক আল্পুত। তাঁর কথায়, ‘‘আরপিএফ কর্মীদের ধন্যবাদ জানানোর ভাষা নেই। ওঁদের কাছে আমি কৃতজ্ঞ। ট্রেনে ব্যাগ হারিয়ে গেলেও যে তা ফিরে পাওয়া যায়, নিজের অভিজ্ঞতা থেকে তা জানলাম। ব্যাগটি পাওয়া না গেলে বড় ক্ষতি হয়ে যেত।’’ কী বলছেন আরপিএফ জওয়ানেরা? তাঁদের কথায়, ‘‘এমন আর কী করেছি আমরা। কর্তব্য পালন করেছি মাত্র।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy