Advertisement
০৬ মে ২০২৪
Fraudulence

মৃত ব্যক্তিকে ‘জীবিত’ দেখিয়ে কারচুপি, ধৃত ৪

জানা যায়, গৌর মণ্ডল নামে এক ব্যক্তি হরিপদের থেকে মোটা অঙ্কের টাকার বিনিময়ে চক্রান্ত করে বঙ্কিমের জমির দলিল বুলারানির নামে করার ব্যবস্থা করেন।

—প্রতীকী চিত্র।

—প্রতীকী চিত্র।

নিজস্ব সংবাদদাতা
হিঙ্গলগঞ্জ শেষ আপডেট: ২৫ ডিসেম্বর ২০২৩ ০৮:২৭
Share: Save:

২০০৭ সালে মৃত ব্যক্তির সই ২০২২ সালে নকল করে ৩৪ শতক জমি হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগে বৃহস্পতিবার গ্রেফতার করা হল চার জনকে। হিঙ্গলগঞ্জ থানার দক্ষিণ মালেকান ঘুমটি গ্রামের এই ঘটনায় ধৃতদের নাম গৌর মণ্ডল, হরিপদ মিস্ত্রি, বুলারানি মিস্ত্রি, ও রেণুকা মণ্ডল। বুলারানি ছাড়া বাকি তিন জনকে পুলিশি হেফাজতে নেওয়া হয়েছে।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, কয়েক মাস আগে বঙ্কিম মণ্ডল নামে এক ব্যক্তি হিঙ্গলগঞ্জ থানায় দায়ের করা অভিযোগে জানান, প্রতিবেশী হরিপদ মিস্ত্রি ও তাঁর স্ত্রী বুলারানির নামে মালেকান ঘুমটিতে বঙ্কিমের ৩৪ শতক জমির দলিল তৈরি করা হয়েছে। বঙ্কিমের অভিযোগ, তাঁর প্রয়াত বাবা মহাদেব মণ্ডলের সই নকল করে জমির দলিল তৈরি করেছেন হরিপদ।

তদন্ত শুরু করে পুলিশ। জানা যায়, গৌর মণ্ডল নামে এক ব্যক্তি হরিপদের থেকে মোটা অঙ্কের টাকার বিনিময়ে চক্রান্ত করে বঙ্কিমের জমির দলিল বুলারানির নামে করার ব্যবস্থা করেন। মৃত মহাদেব মণ্ডল হিসাবে সাজানো হয় হরিপদকে। মহাদেব মণ্ডলের সই নকল করে হরিপদ ২০২২ সালে হাসনাবাদ রেজিস্ট্রি অফিসে গিয়ে জমি লিখে দেন বুলারানিরনামে।

২১ ডিসেম্বর হিঙ্গলগঞ্জ থানার পুলিশের হাতে ধরা পড়ে হেমনগর থানার পূর্ব কালীতলা গ্রামের বাসিন্দা গৌর, হরিপদ, বুলারানি মিস্ত্রি। গ্রেফতার করা হয় হাসনাবাদ রেজিস্ট্রি অফিসের দলিল লেখক রেণুকা মণ্ডলকেও। তদন্তকারীদের দাবি, কারচুপির সঙ্গে সরাসরি যুক্ত ছিলেন রেণুকা। কারচুপিতে রেজিস্ট্রি অফিস ও ভূমি ও ভূমি সংস্কার দফতরের আর কেউ জড়িত কি না, তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ।

হিঙ্গলগঞ্জের ভূমি ও ভূমি সংস্কার বিভাগের আধিকারিক ইফতেখার উদ্দিন সর্দার বলেন, “এই ঘটনায় আমার অফিসের কেউ যুক্ত আছে বলে আমার জানা নেই। পুলিশের তদন্তে যা উঠে আসবে, সেই অনুযায়ী ব্যবস্থা নিক। তদন্তে সহযোগিতা করব।”

হাসনাবাদ রেজিস্ট্রি অফিসের এডিএসআর সঞ্জিতকুমার ঘোষ বলেন, “এই ধরনের কারচুপির ঘটনা নির্দিষ্ট ভাবে হিঙ্গলগঞ্জ ব্লকের কয়েকটি গ্রামের জমি নিয়েই হচ্ছে। এর আগেও কয়েকটি ঘটনা ঘটেছে। তা নিয়ে মামলা চলছে। হিঙ্গলগঞ্জের এই ঘটনার সঙ্গে আমাদের অফিসের কর্মীদের কোনও যোগ আছে বলে জানা নেই। আমরা যতটা সম্ভব তথ্য যাচাই করি। দলিল লেখকদেরও বার বার সতর্ক করা হয়েছে। আবারও সতর্ক করা হবে, এমন ঘটনা যাতে না ঘটে।”

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Hingalganj
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE