গাড়ির গোপন কুঠুরি থেকে মাদক উদ্ধার গোয়েন্দাদের। শুক্রবার কোপাই সেতুতে। —নিজস্ব চিত্র।
গাড়ির বিভিন্ন অংশে গোপন কুঠুরি তৈরি করে তার ভিতরে মাদক পাচারের চেষ্টা বানচাল করে দিল রাজ্য পুলিশের স্পেশাল টাস্ক ফোর্স বা এসটিএফ।
ওই গাড়ি থেকে ৯০ কেজি গাঁজা বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। এসটিএফ জানিয়েছে, ওই ঘটনায় গাড়ির চার আরোহীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ধৃতদের মধ্যে এক মহিলাওরয়েছেন।
পুলিশ সূত্রের খবর, এসটিএফের গোয়েন্দারা শুক্রবার খবর পান, দু’টি গাড়িতে মাদক পাচার করা হচ্ছে। সেই মতো তাঁরা শুক্রবার বিকেলে বোলপুরের কোপাই সেতুর কাছে মহিষঢাল গ্রামে তল্লাশি চালাচ্ছিলেন। সেই সময় দু’টি গাড়ি নিয়ে এসটিএফের সন্দেহ হয়। কিন্তু, গাড়ি দু’টিতে তল্লাশি চালিয়েও কিছু মেলেনি।
এসটিএফের দাবি, নতুন করে তল্লাশি চালাতে গিয়ে দেখা যায়, গাড়ির নীচে ডিকি থেকে ইঞ্জিন পর্যন্ত বিশেষ ভাবে একটা কুঠুরি তৈরি করা আছে। তা খুলতেই বেরিয়ে আসে গাঁজা ভর্তি পরের পর খয়েরি রঙের প্যাকেট।
এক গোয়েন্দা কর্তা জানান, শুধু গাড়ি দু’টির তলার দিকেই নয়, গাড়ির পিছনের এবং হেডলাইটের ভিতরেও গোপন কুঠুরি তৈরি করেছিল মাদক কারবারিরা। সেখানেই বিপুলপরিমাণ গাঁজা ভরেপাচার করা হচ্ছিল।গাড়ি দু’টিকেও বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে।
এসটিএফ সূত্রের খবর, ধৃতদের নাম তথাগত রায়, সুব্রত দাস, ত্রিদীপ চৌধুরী ও শিপ্রা বণিক। প্রথম দু’জনের বাড়ি নিউ জলপাইগুড়ির ভক্তিনগরে। বাকি দু’জনের বাড়ি উত্তর ২৪ পরগনায়। এঁদের মধ্যে শিপ্রাগাইঘাটা এলাকায় একটি খুনের মামলায় অভিযুক্ত বলেও গোয়েন্দাদের দাবি। ধৃতদের বিরুদ্ধে শান্তিনিকেতন থানায় মাদক আইনে মামলা রুজু করে তদন্ত শুরু করেছে এসটিএফ।
এসটিএফের এসপি ইন্দ্রজিৎ বসু জানান, প্রাথমিক তদন্তের পরে জানা গিয়েছে, ওই মাদক কোচবিহার থেকে আনা হয়েছিল। নিয়ে যাওয়ার কথা ছিল উত্তর ২৪ পরগনায়।
তাঁর দাবি, ধৃতেরা এর আগেও একাধিকবার গাড়ির গোপন কুঠুরিতে মাদক ভরে উত্তরবঙ্গ থেকে উত্তর ২৪ পরগনার বিভিন্ন প্রান্তে পাচার করেছে। এই পাচারচক্রে আর কারা কারা যুক্ত,তার জানার চেষ্টা চালাচ্ছেন গোয়েন্দারা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy