ধসে পড়েছে বাড়ি। ছবি: নির্মল বসু
হিঙ্গলগঞ্জের ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের কাছে পৌঁছল না ত্রাণ। খোলা আকাশের নীচেই দিন কাটছে অনেকের।
সোমবার বিকেলে ঝড়বৃষ্টিতে হিঙ্গলগঞ্জের দুলদুলি, পাটঘরা, পুকুরিয়া, সাহেবখালি, কাঁঠালবেড়িয়া, চাঁড়ালখালি, দেউলিয়া, কানাইকাটি- সহ আশেপাশের গ্রামে গাছ ও বিদ্যুতের খুঁটি উপড়ে পড়ে। টালি, অ্যাসবেস্টস এবং খড়-টিনের চাল উড়ে যায়। রাতে এবং মঙ্গলবার সকালেও সুন্দরবন এলাকায় ভারী বৃষ্টি হয়েছে। দিনভর ঝিরঝিরে বৃষ্টিতে ত্রাণের কাজ ব্যাহত হয়। ত্রাণ না মেলায় মানুষ ক্ষোভ প্রকাশ করেন।
মঙ্গলবার এলাকায় আসেন বিধায়ক, বিডিও, পঞ্চায়েত সমিতি এবং পঞ্চায়েতের সদস্যেরা। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, সাহেবখালির রায়পাড়ায় শ’দুয়েক বাড়ি ভেঙেছে। কানাইকাটি গ্রামে পনেরোটি বাড়ি ভেঙে পড়েছে। চাল উড়েছে বহু বাড়ির। বহু গাছ ও বিদ্যুতের খুঁটি উপড়ে পড়েছে। বিধায়ক দেবেশ মণ্ডল বলেন, ‘‘এই পরিস্থিতিতে দুর্গত মানুষের জন্য জরুরি পলিথিনের ব্যবস্থা করা হচ্ছে। মানুষ যাতে দ্রুত পরিস্থিতি সামলে উঠতে পারেন, সে দিকে লক্ষ্য রেখে প্রয়োজনীয় ত্রাণের ব্যবস্থা করতে বিডিওকে বলা হয়েছে।’’
সাহেবখালির দেবপ্রসাদ মণ্ডল, নিতাই মণ্ডল, সৌরেন্দ্রনাথ মণ্ডল, হিমাংশু মণ্ডলরা বলেন, ‘‘মুহূর্তের ঝড়ে ঘরের চাল উড়ে গিয়েছে। এই অবস্থায় ত্রাণ তো দূরের কথা, একটা পলিথিন না মেলায় বৃষ্টির মধ্যে কোনও রকমে খোলা বারান্দায় কাটাতে হচ্ছে।’’
কানাইকাটি গ্রামের জয়দেব মণ্ডল বলেন, ‘‘গত দিনের ঘটনায় দু’টো ঘরের মাথার অ্যাসবেস্টসের চাল উড়ে গিয়েছে। এই অবস্থায় আকাশে মেঘ দেখলে ঝড়ের আশঙ্কায় বুক দুরু দুরু করছে।’’ কবে বিদ্যুৎ পরিষেবা মিলবে তা নিয়ে চিন্তিত এলাকার মানুষ। সাহেবখালি পঞ্চায়েতের উপপ্রধান অমিয় মণ্ডল বলেন, ‘‘ঝড়ের দাপটে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের তালিকা করা হচ্ছে। আপাতত দু’শোর উপরে বাড়ির ক্ষতি হয়েছে। খুঁটি উপড়ে পড়ায় কবে বিদ্যুৎ পরিষেবা স্বাভাবিক হবে, তা এখনই বলা যাচ্ছে না।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy