বিতর্ক: এই জমিতে নির্মাণ ঘিরেই চলছে ঝামেলা। নিজস্ব চিত্র
দুষ্কৃতী দৌরাত্ম্যের প্রতিবাদে ব্যবসা বন্ধের ডাক দিলেন রায়দিঘির ব্যবসায়ীরা।
তাঁদের অভিযোগ, জোর করে জমির দখল নেওয়া থেকে শুরু করে প্রাণে মেরে ফেলার হুমকি শুনে তাঁরা আতঙ্কিত। শাসকদলের মদতে দুষ্কৃতীরা শাসানি দিচ্ছে বলেও অভিযোগ। পুলিশ-প্রশাসনকে জানিয়ে সর্বদল সভা ডেকেও সমাধান সূত্র বের করা যায়নি। এই পরিস্থিতিতে রায়দিঘি বাজারের ‘ক্রেতা-বিক্রেতাদের স্বার্থে’ আজ, মঙ্গলবার ১২ ঘণ্টার বন্ধ ডেকেছে ব্যবসায়ী সমিতি। নির্দিষ্ট অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছে পুলিশ। বন্ধ সম্পর্কে তাদের কেউ কিছু জানায়নি বলে দাবি করেছেন ব্লক প্রশাসনের কর্তারা। জোর করে জমি দখল বা দুষ্কৃতী দৌরাত্ম্যের বিষয়টি খোঁজ নিয়ে দেখার আশ্বাস মিলেছে।
রায়দিঘি বাজার-লাগোয়া প্রায় ১৭ শতক খাস জমি বছর দ’শেক ধরে ব্যবসায়ী সমিতির দখলে আছে। রায়দিঘি বাজারে আলাদা কোনও আনাজ বাজার নেই। বাসস্ট্যান্ডে বাজার বসে। সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত মূল রাস্তার উপরে বাসস্ট্যান্ডে বাজার বসায় যানজটে অতিষ্ঠ বাসিন্দারা। ওই আনাজ বাজার সরিয়ে এনে দখলে রাখা জমিতে করার জন্য মাস কয়েক আগে থেকে বালি ফেলে সংস্কারের কাজ চলছিল।
অভিযোগ, মাসখানেক আগে স্থানীয় একদল দুষ্কৃতী ওই জমি দখল করার জন্য বাঁশ পোতার শুরু করে। বাসিন্দারের দাবি, বাধা দিতে গেলে প্রাণে মেরে ফেলার হুমকি দেয় তারা। বিষয়টি পুলিশ ও ব্লক প্রশাসনের নজরে আনেন ব্যবসায়ীরা। পুলিশ সব পক্ষকে ডেকে সভাও করে। কিন্তু পরিস্থিতি বদলায়নি বলে অভিযোগ ব্যবসায়ীদের।
ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি সন্তোষ মাইতি বলেন, ‘‘বন্ধ ডেকে প্রতিবাদ করা ছাড়া আমাদের কোনও বিকল্প পথ ছিল না। কারণ, একা একা কেউ অন্যায়ের প্রতিবাদ করতে গেলেই খুন হয়ে যেতে পারে। তাই ক’দিন ধরে মাইকে, লিফলেট বিলি করে বন্ধের প্রচার চালানো হয়েছে।’’
এ বিষয়ে মথুরাপুর ২ ব্লকের তৃণমূল সভাপতি অলোক জলদাতা বলেন, ‘‘দুষ্কৃতী দৌরাত্ম্যের কথা ঠিক নয়। কিছু লোক জোর করে জমি দখল করায় ব্যবসায়ী সমিতির সমস্যা হচ্ছে। আর উন্নয়নের ক্ষেত্রে জেলায় পরিকল্পনা করে পাঠানো হয়েছে।’’ তাঁরর দাবি, বন্ধ ডাকার পিছনে ‘রাজনৈতিক অভিসন্ধি’ রয়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy