Advertisement
০২ মে ২০২৪
kakdwip

ভাঙাচোরা ভবনের পাশ দিয়ে যাতায়াত

স্কুল কর্তৃপক্ষের দাবি, চার বছর ধরে স্কুলের পুরনো ভবন সংস্কারের জন্য আবেদন করা হয়েছে। স্কুল শিক্ষা দফতর থেকে প্রশাসন সকলকেই লিখিত ভাবে জানানো হয়েছে।

ভগ্নদশা: এই ভবনে ঝুঁকি নিয়েই চলে ক্লাস। নিজস্ব চিত্র

সমরেশ মণ্ডল
কাকদ্বীপ শেষ আপডেট: ২১ নভেম্বর ২০২২ ১০:২০
Share: Save:

১৯৬৯ সালে তৈরি হয়েছিল কাকদ্বীপ ব্লকের অক্ষয়নগর জ্ঞানদাময়ী বিদ্যানিকেতন। চার বছর আগে থেকে পুরনো তিনতলা ভবনের দেওয়ালে ফাটল ধরে। যে কোনও মুহূর্তে ভবনটি ভেঙে পড়তে পারে বলে আশঙ্কা করছেন শিক্ষকেরা। স্কুল সূত্রের খবর, এখন স্কুলে ১৮টি শ্রেণিকক্ষ রয়েছে। আগে সংখ্যা ছিল ৩০। ক্লাসঘরের সংখ্যা কমে যাওয়ায় ছাত্রছাত্রীদের বসার সমস্যা হচ্ছে। একটি ঘরে দু’টি বিভাগকে ক্লাস করতে হয়।

স্কুল কর্তৃপক্ষের দাবি, চার বছর ধরে স্কুলের পুরনো ভবন সংস্কারের জন্য আবেদন করা হয়েছে। স্কুল শিক্ষা দফতর থেকে প্রশাসন সকলকেই লিখিত ভাবে জানানো হয়েছে। কিন্তু লাভ হয়নি। বর্তমান স্কুলভবন-লাগোয়া পুরনো ভগ্নদশার ভবনটি রয়েছে। ছাত্রছাত্রীরা পাশ দিয়েই যাতায়াত করে।

স্কুলে শিক্ষকের সংখ্যা ১৪ জন। ছাত্রছাত্রীদের সংখ্যা প্রায় ৮০০ জন। প্রধান শিক্ষক আশিসকুমার মাইতি বলেন, ‘‘পুরনো ভবনে যে ক্লাস চলত, দু’বছর আগে তা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। ভবনটিতে যাতে কেউ না ঢোকে, সে জন্য পুরনো জানলা-দরজা দিয়ে ঘিরে রাখা হয়েছে।’’ স্কুল পরিচালন কমিটির সভাপতি দেবকুমার দাস বলেন, ‘‘স্কুলভবন সংস্কারের জন্য বার বার প্রশাসনের কাছে পৌঁছে গিয়েছি। কিন্তু সুরাহা মেলেনি। স্কুলের উদ্যোগে কিছু ভাঙা অংশ সারানো হয়েছে। আলিপুর থেকে ইঞ্জিনিয়ার এসে দেখে গিয়েছেন। বাকি ভগ্নাংশ মেরামতের জন্য স্কুলের অর্থ যথেষ্ট নয়।’’ স্কুলের নবম শ্রেণির এক ছাত্রীর কথায়, ‘‘তিন বছর ধরে ভাঙা অবস্থায় রয়েছে ভবনটি। আমরা রোজ তার পাশ দিয়ে যাতায়াত করি। যে কোনও মুহূর্তে ভেঙে পড়তে পারে বলে আশঙ্কায় থাকি।’’ কাকদ্বীপের বিডিও ঋক গোস্বামী জানান, সম্প্রতি দায়িত্বে এসেছেন। স্কুলের বিষয়টি খোঁজ নিয়ে পুরনো ভবন সংস্কারের ব্যবস্থা করবেন।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

kakdwip Dilapidated Building
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE