সুন্দরবন উন্নয়নমন্ত্রী বঙ্কিম হাজরা। —ফাইল চিত্র।
ক্যানিং পূর্ব বিধানসভার বিভিন্ন জলমগ্ন এলাকা পরিদর্শন করলেন সুন্দরবন উন্নয়নমন্ত্রী বঙ্কিম হাজরা। দিন কয়েক আগে টানা বৃষ্টিতে এই বিধানসভা এলাকার বহু এলাকায় জল জমে যায়। সারেঙ্গাবাদ, দেউলি ১ ও ২, মঠেরদিঘি, কালিকাতলা-সহ বেশ কিছু এলাকার মানুষ এখনও জলবন্দি। কোথাও কোমরসমান, কোথাও হাঁটুসমান জল জমে রয়েছে। জলমগ্ন এলাকা থেকে সরিয়ে ত্রাণশিবিরে রাখা হয়েছে অনেককে।
মঙ্গলবার নেতড়া, দেউলি, মঠেরদিঘি, সারেঙ্গাবাদ, কালিকাতলা-সহ বিভিন্ন এলাকায় ঘোরেন মন্ত্রী। মানুষের সঙ্গে কথা বলেন। তাঁদের হাতে শুকনো খাবার তুলে দেন। নিজের তহবিল থেকে আর্থিক অনুদানের কথাও ঘোষণা করেন। পরে জীবনতলায় ব্লক প্রশাসনের দফতরে এলাকার প্রধান, উপপ্রধান, পঞ্চায়েত সমিতির সদস্যদের সঙ্গে বৈঠক করেন তিনি।
এ দিন মন্ত্রীর সঙ্গে ছিলেন ক্যানিং পূর্বের বিধায়ক শওকত মোল্লা, কুলপির বিধায়ক যোগরঞ্জন হালদার, ক্যানিং ২ বিডিও প্রণব মণ্ডল। ক্যানিং ২ ব্লক প্রশাসন সূত্রের খবর, সারেঙ্গাবাদ, দেউলি ১ ও ২, মঠেরদিঘি, কালিকাতলা পঞ্চায়েত এলাকায় সব থেকে বেশি ক্ষতি হয়েছে। প্রায় দেড় লক্ষ মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত। প্রায় ১৪ হাজার হেক্টর জমির ভেড়ি, পুকুরের মাছের ক্ষতি হয়েছে। প্রায় ৮ হাজার হেক্টর
জমির ফসল নষ্ট হয়েছে। দুর্গত মানুষের জন্য ব্লক এলাকায় ১৮টি ত্রাণ শিবির খোলা হয়েছে। সেখানে এখনও পর্যন্ত ৩,৩৫৭ জন মানুষ রয়েছেন।
শওকত বলেন, “এই এলাকায় নিকাশির একটা সমস্যা রয়েছে। সমাধানের জন্য আমরা মন্ত্রীকে জানিয়েছি। এলাকার সার্বিক ক্ষয়ক্ষতির চিত্রও তাঁর সামনে তুলে ধরেছি।” মন্ত্রী বলেন, “ক্যানিং ২ ব্লকের মৌখালি এলাকায় একটি স্লুস গেট তৈরি করা হবে। বিদ্যাধরী নদীর সঙ্গে মাতলা নদীর সংযোগকারী দেউলি খালের সংস্কার করা হবে।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy