বিজেপির জনসভায় শুভেন্দু ্অধিকারী। ছবি: সমীরণ দাস
মৈপিঠ কোস্টাল থানার কিশোরীমোহনপুরে বিজেপি কর্মীদের উপরে হামলার অভিযোগ উঠেছিল রবিবার। অভিযোগের তির তৃণমূলের বিরুদ্ধে। তার প্রতিবাদে বুধবার এলাকায় সভা করলেন বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। তৃণমূল অবশ্য আগেই ওই ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগ অস্বীকার করেছিল।
হামলার ঘটনায় জখম হন তিন বিজেপি কর্মী। কুলতলির বিধায়ক গণেশ মণ্ডলের লোকজনই হামলা চালায় বলে অভিযোগ বিজেপির। এ দিন মৈপিঠের সভা থেকে শুভেন্দু বলেন ‘‘বীরভূমের অনুব্রত মণ্ডলের থেকেও খারাপ অবস্থা হবে গণেশ মণ্ডলের।’’
শুভেন্দু আরও বলেন, ‘‘বিজেপি কর্মীদের গায়ে হাত দেবেন না। ভদ্র ভাবে রাজনীতি করুন। না হলে গণেশ মণ্ডলের অবস্থা কেষ্টর থেকেও খারাপ হবে। কেষ্টকে সোজা করেছি, এদেরও করব।’’ গত কয়েক দিনে বার বার বিজেপি কর্মীদের গায়ে হাত পড়েছে বলে অভিযোগ করে শুভেন্দু বলেন, ‘‘আর একটা কর্মীর গায়ে হাত পড়লে, পরের বার মন কী বাত শুনতে আমি মৈপিঠেআসব।’’
প্রসঙ্গত, প্রধানমন্ত্রীর ‘মন কী বাত’ অনুষ্ঠান শুনে ফেরার পথেই বিজেপি কর্মীরা আক্রান্ত হন বলে অভিযোগ। পুলিশের বিরুদ্ধেও এ দিন ক্ষোভ উগড়ে দেন বিজেপি নেতা।
গণেশ পরে বলেন, ‘‘এলাকায় বিজেপির জনভিত্তি নেই। সভায় লোকই জোগাড় করতে পারেনি ওরা। ভোটের আগে বাজার গরম করতে উনি এই সব বলছেন।’’
এই এলাকায় এক সময়ে দাপট ছিল এসইউসির। এ দিন বেশ কিছু এসইউসি নেতা-কর্মী বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন। শুভেন্দুর কথায়, ‘‘এই এলাকার নেতাদের এক সময়ে ভাঙা সাইকেলও ছিল না। এখন তিন-চারটে করে চার চাকার গাড়ি নিয়ে ঘোরে। প্রাসাদের মতো বাড়িতে থাকে।’’ একশো দিনের কাজ, আমপান ক্ষতিপূরণ নিয়ে এলাকায় প্রচুর দুর্নীতি হয়েছে বলে তাঁর অভিযোগ। মৈপিঠের দুর্নীতির কথা প্রধানমন্ত্রীকে জানিয়েছেন বলে দাবি শুভেন্দুর। কুলতলিতে দুর্নীতির তদন্তের জন্য সিবিআইয়ের কাছে আবেদন করেছেন বলেও জানান তিনি।
দুর্নীতির প্রসঙ্গে গণেশ বলেন, ‘‘গত কয়েক দিনে একাধিক বার কেন্দ্রীয় দল এসেছে। তারা কোনও দুর্নীতি পায়নি। ফলে দুর্নীতির এই সব অভিযোগ ভিত্তিহীন।’’
হরিণঘটার বিজেপি বিধায়ক অসীম সরকারও ছিলেন এ দিনের সভায়। পঞ্চায়েত ভোটের দিন বিজেপি কর্মীদের পতাকায় মোটা লাঠি লাগানোর পরামর্শ দেন তিনি। ভোটের দিন চ্যালা কাঠে রান্নার পরামর্শ দেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy