E-Paper

সাগরে সেতু গড়া সহজ নয়: শুভেন্দু

গত বার গঙ্গাসাগর মেলার প্রস্তুতি পরিদর্শন করতে গিয়ে কেন্দ্রীয় বঞ্চনার অভিযোগ তুলেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২৫ ডিসেম্বর ২০২৫ ০৯:০০
সেতু তৈরির জন্য মুড়িগঙ্গা নদীতে চলছে মাটি পরীক্ষা।

সেতু তৈরির জন্য মুড়িগঙ্গা নদীতে চলছে মাটি পরীক্ষা। ফাইল চিত্র।

গঙ্গাসাগরে যাতায়াতের সুবিধার জন্য মুড়িগঙ্গা নদীতে সেতু গড়তে উদ্যোগী হয়েছে রাজ্য। এ জন্য ১৭০০ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কিন্তু বুধবার সাগরে সভা করতে এসে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর দাবি, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এই সেতু তৈরি করতে পারবেন না। কারণ, এটি একটি আন্তর্জাতিক জলপথ। এই ধরনের সেতু তৈরি করতে হলে বিজেপি সরকার এবং প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর নেতৃত্ব প্রয়োজন। রাজ্যে বিজেপি ক্ষমতায় এলে তবেই এই সেতু হওয়া সম্ভব। শুভেন্দুকে পাল্টা কটাক্ষ করেছে তৃণমূল। শুভেন্দুর মন্তব্যকে বিভ্রান্তিকর বলে দাবি করেন তৃণমূলের মথুরাপুরের সাংসদ বাপি হালদার।

গত বার গঙ্গাসাগর মেলার প্রস্তুতি পরিদর্শন করতে গিয়ে কেন্দ্রীয় বঞ্চনার অভিযোগ তুলেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। রাজ্যের উদ্যোগেই মুড়িগঙ্গার উপরে প্রস্তাবিত সেতুর কাজ আগামী পাঁচ বছরের মধ্যে শেষ হয়ে যাবে বলেও জানিয়েছিলেন। শুভেন্দু এ দিন দাবি করেন, কাকদ্বীপ লট ৮ থেকে সাগরে সেতু তৈরি করা মোটেই সহজ কাজ নয়। রাজ্য সরকার কেন্দ্রের কাছে কোনও প্রস্তাব দেয়নি, ছাড়পত্রও নেয়নি। শুধুমাত্র ভোটের স্বার্থে নারকেল ফাটিয়ে শিলান্যাস করা হচ্ছে। তাঁর কথায়, ‘‘আগামী চার মাস পরে বাংলায় বিজেপি ক্ষমতায় এলে গঙ্গাসাগরকে বিশ্ব মানচিত্রে তুলে ধরা হবে। আরও অনেক কিছু হবে। সাগরমেলাকে আন্তর্জাতিক স্তরে উন্নীত করা হবে।’’

গঙ্গাসাগরে টাকা নয়ছয়ের অভিযোগেও সরব হন বিরোধী দলনেতা। তাঁর অভিযোগ, ‘‘প্রতি বছর গঙ্গাসাগর মেলাকে কেন্দ্র করে মুড়িগঙ্গা নদীতে ড্রেজিংয়ের নামে বিপুল অর্থ চুরি হচ্ছে। সেচ দফতরের টাকা লুট হচ্ছে। বালি ও মাটি চুরি করা হচ্ছে। অথচ নদীবাঁধ মেরামত হয়নি।’’ তাঁর প্রশ্ন, ‘‘বালি কাটতে কাটতে যে ভাবে মোহনাকে এগিয়ে আনা হয়েছে, তাতে আগামী দশ বছর পর কপিল মুনির মন্দির আদৌ থাকবে তো? মুখ্যমন্ত্রী গঙ্গাসাগরে যে কাঠের বাংলো তৈরি করেছেন, তা কার টাকায় তৈরি?’’

তৃণমূলের মথুরাপুরের সাংসদ বাপি হালদার পাল্টা বলেন, ‘‘বিভ্রান্তিকর তথ্য ছড়ানো হচ্ছে। এর উদ্দেশ্য একটাই—সাগরের মানুষ ও লক্ষ লক্ষ পুণ্যার্থীর সহজ যাতায়াতের জন্য যে উন্নয়ন হচ্ছে, তা আটকে দেওয়া। তৃণমূল বার বার গঙ্গাসাগর মেলাকে আন্তর্জাতিক মেলার স্বীকৃতি দেওয়ার দাবি জানিয়েছে। পরিকল্পিত ভাবে সেই উদ্যোগে বাধা দেওয়ার চেষ্টা করছে বিজেপি। এটা ওদের রাজনৈতিক অস্তিত্ব রক্ষার লড়াই ছাড়া কিছু নয়।’’

(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)

gangasagar Suvendu Adhikari Mamata Banerjee

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy