Advertisement
E-Paper

ভিড় ঠেকাতে পুলিশের ভূমিকা এখনও অস্পষ্টই

দুই জেলায় পুজো কমিটিগুলিকে নিয়ে বৈঠক করলেও ভিড় আটকানো নিয়ে নিজস্ব কোনও ব্লু প্রিন্ট মঙ্গলবার বিকেল পর্যন্ত জানাতে পারেননি পুলিশ-প্রশাসনের কর্তারা।

নিজস্ব প্রতিবেদন

শেষ আপডেট: ২১ অক্টোবর ২০২০ ০১:২৬
জীবাণুনাশ করা হচ্ছে দক্ষিণ বারাসতের একটি মণ্ডপে। মঙ্গলবার।

জীবাণুনাশ করা হচ্ছে দক্ষিণ বারাসতের একটি মণ্ডপে। মঙ্গলবার।

এক দিকে জনতার সদিচ্ছা এবং অন্য দিকে, পুলিশ-প্রশাসনের তৎপরতা— এই দুইয়ের উপরে এখন ঝুলছে পুজোর ভিড়ের ভবিষ্যৎ। পুজো কমিটিগুলি যে পাঁচ-দশ মিটার দূরে গণ্ডি বাঁধা ছাড়া বিশেষ নড়ে বসছে না, তার ইঙ্গিত স্পষ্ট হচ্ছে ক্রমশ।

এই পরিস্থিতিতে দুই জেলায় পুজো কমিটিগুলিকে নিয়ে বৈঠক করলেও ভিড় আটকানো নিয়ে নিজস্ব কোনও ব্লু প্রিন্ট মঙ্গলবার বিকেল পর্যন্ত জানাতে পারেননি পুলিশ-প্রশাসনের কর্তারা। এই পরিস্থিতিতে আবার পুজো দেখার জন্য মঙ্গলবার গাইড ম্যাপের উদ্বোধন করে ফেলেছে বারুইপুর পুলিশ জেলা। পাশাপাশি মোবাইল অ্যাপেরও উদ্বোধন হয়েছে, যেখানে লাইভ পুজো দেখা যাবে।

কিন্তু গাইড ম্যাপ প্রকাশ করা মানে জনতাকে পথে নামতেই উৎসাহিত করা হল নাকি? পুলিশ সুপার কামনাশিস সেনের বক্তব্য, ‘‘এটা প্রতি বছরই হয়। তাই এ বছরও করা হল।’’ বিস্তারিত নির্দেশিকা এলে বাকি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে জানিয়েছেন তিনি। কিন্ত এ বছরের পরিস্থিতি যে আলাদা, তা কি বুঝতে পারছেন না কর্তারা?

পুজোর দিনগুলিতে কোন পুজো কমিটি কতটা আদালতের রায় মেনে চলল, তার উপরে নজর রাখা হবে বলে জানিয়েছে ডায়মন্ড হারবারের পুলিশ। মহকুমাশাসক সুকান্ত সাহা বলেন, ‘‘হাইকোটের রায় হাতে পেয়েছি। গত কালই সমস্ত পুজো উদ্যোক্তাদের নিয়ে বৈঠক করে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। প্রতিটি মণ্ডপের সঙ্গে প্রশাসনের আধিকারিকেরা নিয়মিত যোগাযোগ রাখছেন। মঙ্গলবার ভাঙড়ের বিভিন্ন পুজো উদ্যোক্তাদের নিয়ে বৈঠক করে হাইকোর্টের রায়ের বিষয়ে জানিয়ে দেওয়া হয় পুলিশের তরফ থেকে।

তবে গোটা বিষয়ে এখনও কার্যত অন্ধকারে বসিরহাট পুলিশ জেলা। পুলিশ সুপার কঙ্করপ্রসাদ বারুই মঙ্গলবার বিকেলে জানিয়েছেন, হাইকোর্টের নির্দেশ এখনও তাঁর হাতেই আসেনি। পেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। ক্যানিংয়ের মহকুমাশাসক রবিপ্রকাশ মিনাও বলেন, ‘‘সরকারি নির্দেশিকা আসেনি। যেমন নির্দেশিকা আসবে, তেমন ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।”

বনগাঁ পুলিশ জেলার কর্তারাও জানাচ্ছেন, পুজো উদ্যোক্তাদের এখনও কিছু নির্দেশ দেওয়া হয়নি। কী ভাবে মণ্ডপের কাছে ভিড় নিয়ন্ত্রণ করবে পুলিশ, তা নিয়েও পরিকল্পনা হয়নি। পুলিশের এক কর্তার বক্তব্য, ‘‘আদালতের নির্দেশের পরে রাজ্য সরকারের কাছ থেকে এখনও কোনও নির্দেশ আসেনি। এলে সেই মতো পদক্ষেপ করা হবে।’’

জেলা পুলিশের এক কর্তার মতে, আদালত নির্দেশ দিলেও নবান্নের মর্জির উপরেই এখন পুলিশ-প্রশাসনের তৎপরতা নির্ভর করছে। আপাতত তাই জল মাপছে সব পক্ষ।

Durga Puja High Court Police
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy