তাণ্ডব: বাগদার মেহেরানি গ্রামে আমপানের চিহ্ন। ফাইল চিত্র।
প্রবল ঝড়বৃষ্টিতে শনিবার বিকেলে ফিরে এল দু’বছর আগে আমপানের স্মৃতি।
এদিন বিকেলে ক্যানিং, বাসন্তী, গোসাবায় ঝড়-বৃষ্টি শুরু হয়। সঙ্গে বিদ্যুতের ঝলকানি। প্রায় এক ঘণ্টা বৃষ্টি হয়েছে। আশপাশের মাঠঘাটে জল জমতে শুরু করে। তবে ক্ষয়ক্ষতির খবর কিছু মেলেনি।
অশনি ও পূর্ণিমার কটালের ফাঁড়া কেটে গিয়েছে। কিন্তু কাকদ্বীপ মহকুমা এলাকা জুড়ে শনিবার বিকেলের ঝোড়ো বাতাস ও বৃষ্টিতে নতুন করে আতঙ্ক তৈরি হয়। উপকূলে ৪০-৫০ কিলোমিটার বেগে দমকা বাতাস বয়েছে। নদী ও সমুদ্রের জলস্তর বাড়ার আশঙ্কা রয়েছে। উত্তাল ঢেউ হচ্ছে নদী ও সমুদ্রে।
ঝড়ের পাশাপাশি বজ্র-বিদ্যুৎ-সহ বৃষ্টিপাত হয় ভাঙড়েও। ঝড়ের তাণ্ডবে ক্যানিং ২ ব্লকের বিভিন্ন এলাকায় প্রচুর গাছ ভেঙে পড়ে। ২০-২৫টি মাটির বাড়ি ভেঙেছে বলে স্থানীয় সূত্রের খবর। কিছু মাটির বাড়ির আংশিক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। জীবনতলার বিভিন্ন রাস্তায় গাছ ভেঙে পড়ায় বেশ কিছুক্ষণ যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।
পরে ব্লক প্রশাসন ও স্থানীয় মানুষের উদ্যোগে গাছ কাটার ব্যবস্থা করা হয়। যাঁদের বাড়ি ভেঙে গিয়েছে, এ রকম প্রায় ১০০ জনকে নিরাপদ আশ্রয়ে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
ক্যানিং ২ বিডিও প্রণব মণ্ডল বলেন, ‘‘কালবৈশাখীর ঝড়ে বেশ কিছু মাটির বাড়ি ভেঙে পড়েছে বলে খবর পেয়েছি। কিছু গাছ ভেঙেছে। আমরা সেই গাছ দ্রুত কাটার ব্যবস্থা করছি।’’
সকাল থেকে সারাদিন গ্রীষ্মের তাপের পরে ঠিক সন্ধের মুখে ঝমঝমিয়ে বৃষ্টি নামে ডায়মন্ড হারবারে। বাসিন্দাদের স্বস্তি ফেরে। সাড়ে ৫টা নাগাদ ঝড়বৃষ্টি শুরু হয় বনগাঁতেও। শিল পড়েছে কিছু এলাকায়। রাস্তাঘাট ফাঁকা হয়ে যায়।
তবে দুই জেলায় তীব্র গরমের পরে এই বৃষ্টিতে স্বস্তি পেলেন বাসিন্দারা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy