বেআইনি ভাবে ভেড়ির জমি থেকে মাটি কাটার অভিযোগে পথ অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখালেন গ্রামবাসীরা। রবিবার সকালে বেলিয়াঘাটা-রাজারহাট রোডের শাসন থানার ব্যাকের মোড় এলাকায় গ্রামবাসীদের সঙ্গে বিক্ষোভ-অবরোধে দলীয় পতাকা নিয়ে সামিল হন স্থানীয় তৃণমূলের নেতা-কর্মীরাও। যদিও তৃণমূলেরই কিছু লোকের বিরুদ্ধে ‘বেআইনি ভাবে’ মাটি কাটা, মারধরের অভিযোগ উঠছে। অভিযুক্তেরা সে দাবি মানেননি। বিক্ষোভে সামিল হওয়া তৃণমূলের নেতা-কর্মীদের দাবি, এর মধ্যে ‘গোষ্ঠীকোন্দল’ নেই, স্থানীয় মানুষের স্বার্থেই আন্দোলন।
স্থানীয় সূত্রের খবর, শাসন থানা এলাকার মুদিয়া ১ ও ২ মৌজার প্রায় তিরিশ বিঘা ভেড়ির বর্গা ও পাট্টার মালিকদের না জানিয়ে মাটি কেটে ‘বিক্রি করছেন’ ভেড়ি লিজ় নিয়ে মাছ চাষ করা ব্যবসায়ীরা। অভিযোগ, ‘মাটি মাফিয়ারা’ ভেড়ির পাশাপাশি পাশের চাষের জমি থেকেও মাটি কেটে নিচ্ছে প্রয়োজনীয় অনুমতি ছাড়াই। জমি মালিকদের দাবি, তাঁরা বহু বার নিষেধ করলেও কেউ শোনেনি। মাটি কাটা রুখতে স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্বের কাছে যান অনেকে। রবিবার সকালে ঘণ্টাখানেক পথ অবরোধ হয়। শাসন থানার পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। পদক্ষেপ করার আশ্বাস দিলে অবরোধ ওঠে।
বিক্ষোভকারী বাকিবুল ইসলাম বলেন, ‘‘আমরা মাটি না কাটার জন্য বোর্ড বসিয়েছিলাম। আমাদের মারধর করে বোর্ড তুলে ফেলে দেওয়া হয়। তারই প্রতিবাদে অবরোধ করেছি। মাটি মাফিয়ারা তৃণমূল করে বলে গায়ের জোরে অবৈধ ভাবে মাটি কাটছে।’’
তৃণমূলের স্থানীয় নেতা মণিরুল ইসলাম বলেন, ‘‘এখানকার জমি মালিকদের আপদে-বিপদে আমরাই পাশে দাঁড়াই। ওঁদের অমতে ওঁদের জমি থেকে মাটি কাটা বেআইনি। তা রুখতেই পাশে দাঁড়িয়েছি।’’
বিক্ষোভকারীদের দাবি, শাসন এলাকার মহিউদ্দিন আলি, কাদের আলি, মকবুল হোসেনেরা মাটি কেটে বিক্রি করছেন, জমি মালিকদের মারধর করছেন। মহিউদ্দিন অবশ্য বলেন, ‘‘ভিত্তিহীন অভিযোগ। মাছ চাষের জন্য জমি তৈরি করতে কাদা মাটি তোলা হচ্ছে। ভেড়িতে ঢুকে মাছ চুরি ও তোলাবাজি আটকানো হয়েছে। সে কারণে ক্ষিপ্ত হয়ে কিছু লোক ব্যবসার ক্ষতি করতে পথে নেমেছে। দলের নেতৃত্বকে ওদের বিষয়ে জানাব।’’
এই খবরটি পড়ার জন্য সাবস্ক্রাইব করুন
5,148
1,999
429
169
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)