E-Paper

মজুত বারুদ থেকে বিস্ফোরণ রহড়ায়

পুলিশ সূত্রের খবর, রহড়ার বন্দিপুরের ঠাকুর কলোনিতে প্রায় তিন বছর ধরে একটি বাড়িতে স্ত্রী ও সন্তানকে নিয়ে ভাড়া থাকেন অভিজিৎ সিংহ নামে এক যুবক। পেশায় তিনি ছাউনি তৈরির মিস্ত্রি। এ দিন অভিজিতের ভাড়া বাড়ির একটি ঘরে বিস্ফোরণ হয়।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১৭ নভেম্বর ২০২৫ ০৭:৪৬

—প্রতীকী চিত্র।

আচমকাই বিস্ফোরণের শব্দে হকচকিয়ে গিয়েছিলেন প্রতিবেশীরা। সকলে এসে দেখেন, ঘরভর্তি ধোঁয়া। ভিতরে ভেঙে পড়ে রয়েছে টিভি, ফুটো হয়ে গিয়েছে ঘরের টিনের ছাউনি। রবিবার বিকেলে, রহড়ার ঘটনা। তবে ঘটনায় হতাহতের কোনও খবর নেই। ওই ঘরের ভাড়াটেকে জিজ্ঞাসাবাদ করছে পুলিশ।

পুলিশ সূত্রের খবর, রহড়ার বন্দিপুরের ঠাকুর কলোনিতে প্রায় তিন বছর ধরে একটি বাড়িতে স্ত্রী ও সন্তানকে নিয়ে ভাড়া থাকেন অভিজিৎ সিংহ নামে এক যুবক। পেশায় তিনি ছাউনি তৈরির মিস্ত্রি। এ দিন অভিজিতের ভাড়া বাড়ির একটি ঘরে ওই বিস্ফোরণ হয়। খবর পেয়ে ব্যারাকপুর সিটি পুলিশের শীর্ষ আধিকারিকেরা-সহ রহড়া থানার পুলিশবাহিনী ঘটনাস্থলে আসে। অভিজিৎ বলেন, ‘‘দুপুরের খাওয়া শেষ করে অন্য ঘরে তিন জনেই শুয়ে ছিলাম। বিকেলের দিকে আচমকাই বিস্ফোরণের শব্দ শুনে প্রথমে ভেবেছিলাম, টায়ার ফেটেছে। কিন্তু বেরিয়ে দেখি, আমাদেরই অন্য ঘরটি ধোঁয়ায় ভর্তি।’’ ওই যুবকের দাবি, তিনি উড়ন-তুবড়ি তৈরির জন্য মশলা কিনে রেখেছিলেন ওই ঘরে।

মজুত করা সেই বারুদ থেকেই বিস্ফোরণ হয়েছে বলে অভিজিৎ দাবি করলেও তাঁকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেছেন তদন্তকারীরা। পুলিশ সূত্রের খবর, প্রাথমিক ভাবে অভিজিৎ দাবি করেছেন, কালীপুজোর সময়ে তিনি উড়ন-তুবড়ি তৈরির জন্য টিটাগড় থেকে ওই বারুদ কিনেছিলেন। সেই বাজির অব্যবহৃত মশলাই ঘরে রেখেছিলেন। ঘটনাস্থল থেকে নমুনা সংগ্রহ করে ফরেন্সিক পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছে। ব্যারাকপুর সিটি পুলিশের এসিপি (ঘোলা) তনয় চট্টোপাধ্যায় বলেন, ‘‘বারুদ মজুত ছিল এবং তা থেকেই বিস্ফোরণ বলে প্রাথমিক ভাবে অনুমান। ওই যুবক যা দাবি করছেন, তার সত্যতাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।’’

(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)

Rahara Firebreak

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy