থানায় এক মনে কাজ করছিলেন ডিউটি অফিসার। হঠাৎ তার সামনে এসে বছর পঁয়ত্রিশের এক ব্যক্তি বলেন আমাকে গ্রেফতার করুন। আমি বেআইনি ভাবে ভারতে ঢুকেছি।
শুক্রবার সন্ধ্যায় বাসিরহাটের ঘটনা। পুলিশ জানিয়েছে, ওই যুবকের নাম দীপঙ্কর মিস্ত্রি। বাড়ি বাংলাদেশের খুলনা জেলার দোকোপা গ্রামে। বুধবার ভোরে দালালের মাধ্যমে সীমান্ত পেরিয়ে ঘোজাডাঙায় আসে কাজের খোঁজে। দালালকে টাকা দেওয়ার পর সামান্য যেটুকু অবশিষ্ট ছিল তাও খরচ হয়ে গিয়েছে। টাকা না থাকায় সীমান্ত পার করার দালাল মিলছে না বলে থানায় এসে ধরা দিয়েছেন তিনি। পুলিশকে দীপঙ্করবাবু জানিয়েছেন, বাড়ির অবস্থা খারাপ। ঠিকমতো খাবার জোটে না। সে কারণে ভারতে টাকা রোজগারের জন্য এসেছিলেন তিনি। এক বন্ধুও তাঁর সঙ্গে ছিল। অবৈধ ভাবে পারাপারের সময় বিএসএফ দেখতে পেয়ে তাড়া করে। একটি গ্রামের মধ্যে এক জনের বাড়িতে গিয়ে লুকোন তাঁরা। কিন্তু তারপর থেকে তাঁর বন্ধুর কোনও হদিশ নেই।
বাংলাদেশে ফিরে না গিয়ে পুলিশের হাতে ধরা দিলেন কেন?
দীপঙ্করবাবু জানান, ফিরে যাওয়ার টাকা নেই। পুলিশ, বিএসএফের হাতে ধরা পড়লে মার জুটবে। থানায় গেলে থাকা-খাওয়ার অভাব হবে না। আর দোষ স্বীকার করলে আজ না হোক কাল দেশেও ফিরতে পারবেন তিনি।
ধৃত দুষ্কৃতী। এক দুষ্কৃতীকে গ্রেফতার করল পুলিশ। শুক্রবার সন্ধ্যায় বসিরহাটের মাটিয়া থেকে আমিন মণ্ডল নামে ওই যুবককে ধরা হয়। পুলিশ জানিয়েছে, ধৃতের বাড়ি বাদুড়িয়ায়। তার কাছ থেকে ২৫ কেজি গাঁজা উদ্ধার হয়েছে। একটি মোটরবাইক আটক করা হয়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy