সংখ্যাতত্ত্বের বিচারে জয় ছিল নেহাতই সময়ের অপেক্ষা। ফলে বৃহস্পতিবার সকালে এক দিকে যখন বারাসতে অনাস্থার উপরে বৈঠক চলছে, তখন বনগাঁয় তৃণমূল শিবির উৎসবের প্রস্তুতি শুরু করেই দিয়েছিল।
গোটা শহর মুড়ে দেওয়া হয়েছিল ঘাসফুল পতাকায়। রাস্তায় লাগানো হয় পুরপ্রধান শঙ্কর আঢ্য-সহ দলীয় কাউন্সিলরদের কাটআউট। মুখ্যমন্ত্রী, খাদ্যমন্ত্রী, পুরমন্ত্রীর কাটআউটও প্রচুর চোখে পড়েছে। বাঁধা হয়ে গিয়েছিল চোঙা। সকাল থেকে বেজেছে রবীন্দ্রসঙ্গীত।
দুপুরের দিকে জয়ের খবর আসতেই বনগাঁর তৃণমূল কর্মী-সমর্থকেরা উল্লাসে মেতে ওঠেন। বাজি ফাটানো শুরু হয়। সবুজ আবির খেলায় মেতে ওঠেন অনেকে। বারাসত থেকে দলীয় কাউন্সিলরদের নিয়ে বেলা ৩টে নাগাদ যখন পুরপ্রধান শঙ্কর আঢ্য ফিরলেন বনগাঁয়, তখন বৃষ্টি পড়ছে। বনগাঁ হাইস্কুলের মোড়ে শিব মন্দিরে প্রণাম সারেন পুরপ্রধান। পুরভবনে ঢুকে নিজের ঘরে টাঙানো দুর্গা ঠাকুরের ছবি সামনে দাঁড়িয়েও প্রণাম করেন। তারপরে বসেন পুরপ্রধানের চেয়ারে। পুরসভার ২২টি ওয়ার্ড থেকেই কাতারে কাতারে নেতা-কর্মী-সমর্থক ছোট-বড় মিছিল করে পৌঁছন পুরভবনের সামনে।