বৃক্ষপ্রেমীদের আশঙ্কা, পরবর্তী কালে পর্যায়ক্রমে বাকি ব্যারাকপুর রোড চওড়া করবার জন্য সমস্ত গাছ ধীরে ধীরে কাটা হতে পারে। তাই পথে তাঁরা। — নিজস্ব চিত্র।
তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াস। তীব্র দাবদাহের মধ্যেই ব্যারাকপুরে চলছে গাছ কাটার কাজ। প্রতিবাদে পথে নামলেন বৃক্ষপ্রেমীরা। বারাসত-ব্যারাকপুর রোডের হেলাবটতলার মোড়ে প্রাথমিক পর্যায়ে তিনটি গাছ কাটার নির্দেশ দিয়েছে বন দফতর। রাস্তা চওড়া করাই উদ্দেশ্য। তাদের তরফে জানানো হয়েছে, নিয়ম মেনেই গাছ কাটা হচ্ছে। বৃক্ষপ্রেমীদের আশঙ্কা, পরবর্তী কালে পর্যায়ক্রমে বাকি ব্যারাকপুর রোড চওড়া করবার জন্য সমস্ত গাছ ধীরে ধীরে কাটা হতে পারে। তাই পথে তাঁরা।
৩৪ নম্বর জাতীয় সড়কের সঙ্গে ব্যারাকপুর রোডের সংযোগস্থলে তিনটে গাছ কাটার নির্দেশ দিয়েছে বন দফতর। একটি প্রাচীন কৃষ্ণচূড়া গাছ কেটে দেওয়ার পর বৃক্ষপ্রেমীরা জানতে পারেন। সঙ্গে সঙ্গেই তাঁরা প্রতিবাদ করে পথে নামেন। এর আগে যশোর রোড চওড়া করার জন্য প্রায় সাড়ে তিন হাজার গাছ কাটার প্রকল্প গ্রহণ করেছিল জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষ। বৃক্ষপ্রেমীরা যশোর রোডে আন্দোলন করে সেই গাছ কাটা তখনকার মতো রুখে দেয়। যদিও সেই ঘটনা এখনও আদালতে বিচারাধীন। এর মধ্যে আবার উত্তর ২৪ পরগণা জেলায় গাছ কাটা শুরু হওয়ায় স্বাভাবিক ভাবেই ক্ষুব্ধ বৃক্ষপ্রেমীরা।
এ প্রসঙ্গে বন দফতরের বিড অফিসার সুজয় হালদার জানিয়েছেন, গাছ কাটার আবেদন করেছিল পিডব্লিউডি। একটা গাছ কেটে পাঁচটা গাছ লাগিয়ে দেওয়া হবে বৃষ্টির সময়। গাছ কাটার জন্য যে নিয়ম রয়েছে, তা পূরণ করার কারণেই বন দফতর গাছ কাটার নির্দেশ দিয়েছে। যদিও প্রতিবাদীরা মানতে নারাজ। তাঁরা হুঁশিয়ারি দিয়েছেন, অবিলম্বে গাছ কাটা বন্ধ করতে হবে। প্রতিবাদী নেহা চক্রবর্তী বলেন, ‘‘রাস্তা চওড়া করার নামে গাছ কাটা অবিলম্বে বন্ধ করতে হবে।’’ আর এক প্রতিবাদী অনির্বাণ দাস বলেন, ‘‘যে রাস্তায় যানজট হয় না, সেখানে গাছ কাটা ধ্বংসলীলা। কলকাতায় ১৭ শতাংশ আর্দ্রতা। এই ভয়ঙ্কর পরিস্থিতি চাই না। তাই লড়াই চলছে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy