Advertisement
০৩ মে ২০২৪
Fisherman

ফের ট্রলার দুর্ঘটনা, নিখোঁজ ৩ মৎস্যজীবী

পুলিশ জানিয়েছে, এফবি প্রসেনজিৎ নামে ওই ট্রলারে আরও ১২ জন ছিলেন। তাঁদের উদ্ধার করা হয়েছে। 

প্রতীকী ছবি।

প্রতীকী ছবি।

নিজস্ব সংবাদদাতা
কাকদ্বীপ শেষ আপডেট: ১৭ অগস্ট ২০২০ ০৫:০৬
Share: Save:

সমুদ্রে মাছ ধরতে গিয়ে ফেরার পথে জলোচ্ছ্বাসে ট্রলার উল্টে নিখোঁজ হলেন ৩ জন মৎস্যজীবী। তাঁদের মধ্যে একজনের দেহ উদ্ধার হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। দেহ উদ্ধার করে আনা হচ্ছে কাকদ্বীপ মৎস্যবন্দরে।

শনিবার বিকেল সাড়ে ৪টে নাগাদ ঘটনাটি ঘটেছে জম্বুদ্বীপের কাছে। পুলিশ জানিয়েছে, এফবি প্রসেনজিৎ নামে ওই ট্রলারে আরও ১২ জন ছিলেন। তাঁদের উদ্ধার করা হয়েছে।

মৎস্য দফতর ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, দিন পাঁচেক আগে ১৫ জন মৎস্যজীবী কাকদ্বীপ বন্দর থেকে ওই ট্রলার নিয়ে সমুদ্রে পাড়ি দেন। আবহাওয়া দফতর ১৪, ১৫ ও ১৬ অগস্ট দুর্যোগের সতর্কতা ঘোষণা করেছে। জানতে পেরে ট্রলারটি ফিরছিল বন্দরে। গভীর সমুদ্রে প্রবল জলোচ্ছ্বাসে উল্টে যায়।

১৫ জন মৎস্যজীবী জলে ঝাঁপিয়ে পড়েন। সে সময় পাশেই ছিল এফ বি মহাভারত নামে একটি ট্রলার। তারা ১২ জনকে উদ্ধার করেন। বাকি ৩ জনের খোঁজ নেই। উদ্ধার হওয়া মৎস্যজীবীরা বলেন, ‘‘জম্বুদ্বীপ থেকে কিছুটা দূরে পৌঁছনোর পরে হঠাৎ দমকা ঝড় ওঠে। ট্রলার এক দিকে হেলে গিয়ে উল্টে যায়। আমরা সকলে ঘণ্টাখানেক জলে ভেসে ছিলাম। দেখতে পেয়ে অন্য একটি ট্রলারের মৎস্যজীবীরা আমাদের উদ্ধার করেন।’’ উদ্ধার হওয়া মৎস্যজীবীরা জানিয়েছেন, কেবিনের মধ্যে আটকে থাকা তিনজনকে উদ্ধারের চেষ্টা করেছিলেন। কিন্তু ঢেউয়ের তোড়ে তা সম্ভব হয়নি।

গত বছর ইলিশের মরসুমে এফবি দশভুজা ও এফবি নয়ন নামে দু’টি ট্রলার উল্টে গিয়েছিল। নিখোঁজ হন ২৩ জন। উদ্ধার করা হয়েছিল ১২ জনকে। মারা যান ১০ জন। কানু দাস নামে এক মৎস্যজীবী এক সপ্তাহ ভেসে ছিলেন জলে। একটি বাংলাদেশি জাহাজ তাঁকে উদ্ধার করে। কাকদ্বীপ ফিশারম্যান ওয়েলফেয়ার অ্যসোসিয়েশনের সম্পাদক বিজন মাইতি বলেন, ‘‘বিগত বছরগুলোতে ট্রলার দুর্ঘটনায় যাঁরা মারা গিয়েছিলেন তাঁদের পরিবার সরকারি টাকা পেয়েছিলেন। নিখোঁজ হয়েছিলেন যাঁরা তাঁদের পরিবারকেও সরকার থেকে সাহায্য করেছিল।’’

এ বারও ইলিশের মরসুমে দুর্ঘটনা ঘটল। প্রায় প্রতি বছর এই মরসুমে ট্রলার দুর্ঘটনা ঘটলেও পেটের টানে মৎস্যজীবীদের ফি বছর যান গভীর সমুদ্রে। বিজন বলেন, ‘‘কৃষ্ণ দাস, প্রদীপ বিশ্বাস ও শিবু বিশ্বাস নামে তিনজন নিখোঁজ। প্রথম দু’জনের বাড়ি কাকদ্বীপের হারউড পয়েন্ট কোস্টাল এলাকায়। শিবুর বাড়ি উত্তর ২৪ পরগনার মধ্যমগ্রামে। তাঁদের খোঁজে ৫টি ট্রলার ও উপকূলরক্ষী বাহিনীর পক্ষ থেকে তল্লাশি চলছে। তবে দুর্ঘটনাগ্রস্ত ট্রলারের কোনও হদিশ মেলেনি।’’ ঘাটে দেহ আনা হলে তারপরে শনাক্ত করা সম্ভব হবে বলে জানিয়েছেন বিজন।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Fisherman Troller
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE