এলাকায় পাকিস্তানের জাতীয় পতাকা লাগিয়ে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি নষ্টের চেষ্টা করার অভিযোগে সনাতনী ঐক্য মঞ্চের দুই সদস্যকে ধরল পুলিশ। বুধবার রাতে উত্তর ২৪ পরগনার গোপালনগরের আকাইপুরের এই ঘটনায় ফের পুলিশের বিরুদ্ধে অতি সক্রিয়তার অভিযোগ করেছে ওই মঞ্চ এবং বিজেপি। বনগাঁ পুলিশ-জেলার সুপার দীনেশ কুমার বলেন, ‘‘ঘটনায় আরও কারা জড়িত এবং কোথা থেকে তারা পাকিস্তানের জাতীয় পতাকা পেল, দেখা হচ্ছে।’’
পুলিশ সূত্রের দাবি, ধৃতেরা সনাতনী ঐক্য মঞ্চের সদস্য হওয়ার পাশাপাশি, একটি রাজনৈতিক দলের সক্রিয় কর্মী। বুধবার রাতে পুলিশের কাছে খবর আসে, আকাইপুর রেল স্টেশন লাগোয়া এলাকায় একটি দেওয়ালে পাকিস্তানের জাতীয় পতাকা লাগানো হয়েছে। সূত্রের খবর অনুযায়ী, ঘটনায় জড়িত অভিযোগে ধরা হয় দু’জনকে। যদিও অভিযোগ অস্বীকার করে ধৃতদের দাবি, তারা পহেলগামে জঙ্গি হানার প্রতিবাদ জানিয়েছিল। পুলিশ উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ভাবে তাদের ধরেছে।
কাশ্মীরে জঙ্গি হানা নিয়ে সমাজমাধ্যমে কিছু উস্কানিমূলক পোস্ট করায় অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ায় পুলিশের ‘অতি সক্রিয়তা’ নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন বনগাঁ দক্ষিণের বিজেপি বিধায়ক স্বপন মজুমদার। বলেছিলেন হাতে অস্ত্র তুলে নেওয়ার কথা। বাধা পেলে পুলিশকে ‘কুপিয়ে কাটার’ নিদানও দেন তিনি। সে অভিযোগের তদন্ত এখনও চলছে। আকাইপুরের ঘটনাতেও পুলিশের বিরুদ্ধে অতি সক্রিয়তার অভিযোগ তুলেছেন বনগাঁ উত্তর কেন্দ্রের বিজেপি বিধায়ক তথা সনাতনী
ঐক্য মঞ্চের কর্মকর্তা অশোক কীর্তনিয়া বলেন, ‘‘সনাতনীরা যখন ঐক্যবদ্ধ হচ্ছেন, তখন মুখ্যমন্ত্রীর চক্রান্তে পুলিশ তাঁদের মিথ্যে মামলায় গ্রেফতার করছে।’’
তৃণমূলের বনগাঁ সাংগঠনিক জেলা সভাপতি বিশ্বজিৎ দাস পাল্টা বলেন, ‘‘বিজেপি বিধানসভা ভোটের আগে সম্প্রীতি নষ্টের চক্রান্ত করে রক্তের রাজনীতি করার পরিকল্পনা করেছে। পুলিশ তাদের কাজ করেছে।’’
এই খবরটি পড়ার জন্য সাবস্ক্রাইব করুন
5,148
1,999
429
169
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)