ভাঙড়ে তৃণমূের দলীয় দফতরে ভাঙচুর। — নিজস্ব চিত্র।
আবাসন প্রকল্পের জমি নিয়ে দুই গোষ্ঠীর সংঘর্ষে উত্তপ্ত দক্ষিণ ২৪ পরগনার ভাঙড়। শুক্রবার রাতে ঘটনাটি ঘটেছে কাশীপুর থানার ভগবানপুর অঞ্চলের খয়েরপুর এলাকায়। ঘটনায় দু’পক্ষ নিজেদের মধ্যে ইট এবং পাথর ছোড়াছুড়ি করে বলে অভিযোগ। তৃণমূলের স্থানীয় একটি কার্যলয়ে ভাঙচুর চালানো হয় বলেও অভিযোগ। এই ঘটনায় উভয়পক্ষই থানায় নালিশ জানিয়েছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ভাঙড়ের পাকাপুল বাজার সংলগ্ন এলাকায় একটি আবাসন গড়ে ওঠার কথা। সে জন্য জমিও ঠিক করা হয়েছিল৷ কিন্তু, এই জায়গা নিয়েই বিতর্কের সূত্রপাত। সম্প্রতি ‘জায়গা বিক্রি হবে না’ বলে সেখানে পোস্টারও লাগানো হয়। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, শুক্রবার রাতে ভাঙড় বিধানসভার তৃণমূলের আহ্বায়ক ফিরোজ সাঁফুই কর্মীদের নিয়ে বৈঠক করছিলেন। আচমকা কয়েক জন লাঠিসোঁটা নিয়ে আতর্কিতে হামলা চালায়। এমনকি পার্টি অফিস ভাঙচুর করা হয়। তাঁর অভিযোগ, তৃণমূল নেতা খয়রুল ইসলামের নেতৃত্বেই এই হামলার ঘটনা ঘটেছে। অন্য দিকে খয়রুলের পাল্টা অভিযোগ, ফিরোজ তাঁর দলবল নিয়ে পার্টি অফিসের ছাদ থেকে গালিগালাজ করে এবং ইট ছোড়ে৷ শনিবার সকালে উভয়পক্ষই কাশীপুর থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছে। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। এলাকায় তৃণমূল নেতা রেজাউল করিম ‘ঘনিষ্ঠ’ হিসাবেই পরিচিত ফিরোজ। আরাবুল ইসলামের ‘অনুগামী’ হিসাবে পরিচিত খয়রুল।
এ নিয়ে ভাঙড়ের আইএসএফ বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকি বলেন, ‘‘আবাসন প্রকল্পের দখলদারি নিয়ে তৃণমূলের দু’পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ ঘটেছে। এরা নিজেদের আখের গোছাতে ব্যস্ত। নিজেদের স্বার্থসিদ্ধির জন্য যে কোনও কাজ করতে পারে তৃণমূল। মানুষের কথা কেউ ভাবে না৷ ভাঙড়ের সাধারণ মানুষ এদের বর্জন করেছে। তাই বিধানসভা ভোটেও এদের উৎখাত করেছে। আগামী পঞ্চায়েত নির্বাচনেও এদেরকে ভাঙড় থেকে সাফ করে দেবে।’’
গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের অভিযোগ অস্বীকার করেছে তৃণমূল। ভাঙড় বিধানসভার তৃণমূলের চেয়ারম্যান রেজাউল করিম বলেন, ‘‘এটা কোনও রাজনৈতিক বিতর্ক নয়৷ ব্যবসায়িক কারণে গন্ডগোল হয়েছে। পুলিশকে বলেছি ব্যবস্থা নিতে। তবে ঘটনায় তৃণমূলের কোনও যোগ নেই। আমাদের দলের বিরুদ্ধে মিথ্যে রটাচ্ছে আইএসএফ। খোঁজ নিয়ে দেখুন ওদের লোকজনই মারামারিতে যুক্ত ছিল।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy