রক্তদান শিবিরে তখন তুলকালাম। —নিজস্ব চিত্র।
তৃণমূল আয়োজিত রক্তদান শিবিরে দু’পক্ষের সংঘর্ষে রক্তারক্তি কাণ্ড। বৃহস্পতিবারের ঘটনা দক্ষিণ ২৪ পরগনার বাসন্তীর কাঁঠালবেড়িয়ায়। ঘটনায় জখম হয়েছেন বেশ কয়েক জন। ওই ঘটনায় গোষ্ঠীকোন্দলের অভিযোগ তুলেছে বিজেপি। যদিও সেই অভিযোগ নস্যাৎ করে দিয়েছেন দক্ষিণ ২৪ পরগনার জোড়াফুল শিবিরের নেতারা। তবে, রক্তদান শিবিরে যাঁরা রক্ত দিতে এসেছিলেন তাঁদের মধ্যেই কয়েক জনকে মাথায় চোট নিয়ে হাসপাতালে যেতে হয়েছে। কয়েক জনের মাথায় সেলাইও পড়েছে।
বৃহস্পতিবার কাঁঠালবেড়িয়ায় একটি রক্তদান শিবিরের আয়োজন করে তৃণমূল। সেখানে উপস্থিত ছিলেন ক্যানিং পূর্বের বিধায়ক শওকত মোল্লা, ক্যানিং পশ্চিমের বিধায়ক শ্যামল মণ্ডল, গোসাবার বিধায়ক সুব্রত মণ্ডল এবং তৃণমূলের সুন্দরবন সাংগঠনিক জেলার সভাপতি যোগরঞ্জন হালদার। ভরা মঞ্চে উপস্থিত নেতৃত্বের সামনেই আচমকা দু’টি গোষ্ঠীর মধ্যে বাগবিতণ্ডা শুরু হয়ে যায়। জোড়াফুল শিবিরের একাংশের অভিযোগ, বিধায়ক শ্যামলের অনুগামীদের সঙ্গে দলের আর একটি পক্ষের বাদানুবাদ শুরু হয়। তা থেকে হাতাহাতি বেধে যায়। পরিস্থিতি এমন হয় যে অনুষ্ঠানের চেয়ার ছোড়াছুড়ি করতে শুরু করে দু’পক্ষ। চলে ভাঙচুরও। পুলিশ তখনকার মতো পরিস্থিতি সামাল দেয়।
এ নিয়ে গোষ্ঠীকোন্দলের অভিযোগ তুলছে বিজেপি। পদ্মশিবিরের দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলা (পূর্ব ভাগ)-র সভাপতি সুনীপ দাস বলেন, ‘‘বাসন্তী এলাকায় তৃণমূলের মধ্যে এমন দৃশ্য অহরহ দেখা যাচ্ছে। গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের জেরে এমন ঘটনা প্রায়শই ঘটে।’’ যদিও গোষ্ঠীকোন্দলের অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছেন যোগরঞ্জন। তাঁর বক্তব্য, ‘‘ভুল বোঝাবুঝির জন্য সামান্য গন্ডগোল তৈরি হয়েছিল। কিন্তু পুলিশের উপস্থিতিতে বিষয়টি মিটমাট হয়। গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের কোনও বিষয় আমাদের দলে নেই।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy