Advertisement
০৪ মে ২০২৪

মহিলাকে অ্যাসিড খাওয়ানোর নালিশ, ধৃত ২

ত্রিকোণ সম্পর্কের টানাপড়েনে এক মহিলাকে অ্যসিড খাইয়ে খুনের চেষ্টার অভিযোগে তাঁর প্রেমিক ও তার সঙ্গী এক মহিলাকে গ্রেফতার করল পুলিশ। সোমবার দুপুরে হাবরা থানার মছলন্দপুর এলাকার ঘটনা। পুলিশ জানিয়েছে, ধৃতদের নাম সঞ্জিত ওরফে পঙ্কজ হালদার এবং স্বপ্না ঘোষ। ধৃতদের মঙ্গলবার বারাসত জেলা আদালতে তোলা হলে বিচারক সঞ্জিতকে চার দিনের পুলিশি হেফাজত এবং স্বপ্নাকে চোদ্দো দিনের জেল হাজতে রাখার নির্দেশ দেন।

নিজস্ব সংবাদদাতা
হাবরা শেষ আপডেট: ১৭ জুন ২০১৫ ০১:২৬
Share: Save:

ত্রিকোণ সম্পর্কের টানাপড়েনে এক মহিলাকে অ্যসিড খাইয়ে খুনের চেষ্টার অভিযোগে তাঁর প্রেমিক ও তার সঙ্গী এক মহিলাকে গ্রেফতার করল পুলিশ। সোমবার দুপুরে হাবরা থানার মছলন্দপুর এলাকার ঘটনা। পুলিশ জানিয়েছে, ধৃতদের নাম সঞ্জিত ওরফে পঙ্কজ হালদার এবং স্বপ্না ঘোষ। ধৃতদের মঙ্গলবার বারাসত জেলা আদালতে তোলা হলে বিচারক সঞ্জিতকে চার দিনের পুলিশি হেফাজত এবং স্বপ্নাকে চোদ্দো দিনের জেল হাজতে রাখার নির্দেশ দেন। বছর তিরিশের ওই মহিলা আশঙ্কাজনক অবস্থায় কলকাতার আরজিকর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। অ্যাসিডে পোড়া সঞ্জিতের জামা, গেঞ্জি এবং অ্যসিডের বোতল উদ্ধার করা হয়েছে। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের অনুমান শৌচাগার পরিষ্কার করার অ্যাসিডই ওই মহিলাকে খাওয়ানো হয়েছে। কোথা থেকে সঞ্জিত ওই অ্যাসিড পেল তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে খবর, সঞ্জিত একটি আয়া সেন্টার চালায়। অ্যাসিডে জখম মহিলার বাপের বাড়ি বনগাঁর রেলবাজার এলাকায়। কয়েক বছর আগে তাঁর বিয়ে হয়েছিল। কিন্তু স্বামীর সঙ্গে তাঁর কোনও সম্পর্ক নেই। মহিলা সংহতি এলাকায় একটি ভাড়া বাড়িতে থাকতেন। ধৃত সঞ্জিতের আদিবাড়ি হুগলির বলাগড়ে। সে স্থানীয় বিশ্বাসহাটি এলাকায় ভাড়া থাকে। বছর দেড়েক আগে ওই মহিলা সঞ্জিতের সেন্টারে আয়ার কাজে যোগ দেন। কাজের সূত্রে সঞ্জিতের সঙ্গে তাঁর প্রেমের সম্পর্ক গড়়ে ওঠে। সম্প্রতি সঞ্জিতের সঙ্গে ওই সেন্টারেই কর্মরত স্বপ্না নামে অন্য এক মহিলার সম্পর্ক তৈরি হয়। মহিলা তার প্রতিবাদ করায় তাঁর সঙ্গে সঞ্জিতের বিরোধ শুরু হয়।

এ দিন দুপুর আড়াইটে নাগাদ ওই মহিলা আয়া সেন্টারে গিয়ে সঞ্জিত এবং স্বপ্নাকে আপত্তিকর অবস্থায় দেখে ফেললে তা নিয়ে সঞ্জিতের সঙ্গে বচসা বেধে যায়। অভিযোগ, এরপরেই স্বপ্না ও সঞ্জিত জোর করে ওই মহিলার মুখের ভিতর অ্যাসিড ঢেলে দেয়। ঘটনার পর সঞ্জিতই গাড়ি করে ওই মহিলাকে বাইগাছি প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে ফেলে দিয়ে আসে। খবর পেয়ে পুলিশ গিয়ে মহিলাকে হাবরা স্টেট জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করে। সেখান থেকে রাতে তাঁকে বারাসত জেলা হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়। পরে আরজিকর হাসপাতালে আনা হয়।

যদিও অভিযোগ অস্বীকার করে সঞ্জিত পুলিশকে জানিয়েছে, মাস তিনেক আগে আয়া সেন্টারের পক্ষ থেকে একটি বাড়িতে ওই মহিলাকে পাঠানো হয়েছিল। সেখান থেকে সে একটি মোবাইল চুরি করে। পরে সেটি তার কাছেই পাওয়া যায়। এর পরেই তাকে কাজ থেকে ছাড়িয়ে দেওয়া হয়। কিন্তু কাজে না নিলে সে অ্যসিড খেয়ে আত্মহত্যা করবে বলে তাঁকে হুমকি দিচ্ছিল। এদিনও সে কাজের জন্য এসেছিল। কিন্তু কাজে না ‌নেওয়ায় সে নিজেই অ্যাসিড খায়।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE