রেললাইন পারাপারের সময়ে বুধবার রাতে সোদপুর স্টেশনে ট্রেনে কাটা পড়ে মৃত্যু হল দুই তরুণীর। তাঁদের মধ্যে এক জনের দেহ স্টেশনে লাইনের ধারে মিললেও অন্য জনের দেহ হাটেবাজারে এক্সপ্রেসের ইঞ্জিনের সামনে বসানো কাউ ক্যাচারে আটকে যায় বলে খবর। সেই দেহ নৈহাটি স্টেশনে ট্রেন পৌঁছনোর পরে উদ্ধার করা হয়। রাত পর্যন্ত মৃতাদের পরিচয় জানা যায়নি। তাঁদের এক জনের গলায় হেডফোন ছিল বলে রেল পুলিশ সূত্রের খবর।
স্থানীয় সূত্রের দাবি, শিবরাত্রির সন্ধ্যায় স্টেশন চত্বরে লোকজনের ভিড় ছিল। তারই মধ্যে লোকাল ট্রেন থেকে নেমে যাত্রীদের একাংশ সরাসরি লাইন পারাপার করছিলেন বলে অভিযোগ। রাত সওয়া ৯টা নাগাদ শিয়ালদহ থেকে কাটিহারগামী হাটেবাজারে এক্সপ্রেস ছাড়ে। ওই ট্রেন এর পরে নৈহাটি স্টেশনে থামে। মাঝে সোদপুর দিয়ে ওই ট্রেন ‘থ্রু’ হিসাবে পেরিয়ে যাচ্ছিল। রাত সাড়ে ৯টা নাগাদ দুই তরুণী ওই স্টেশনের তিন নম্বর থেকে চার নম্বর প্ল্যাটফর্মের দিকে লাইন টপকে যাওয়ার চেষ্টা করছিলেন। লাইন পারাপারের সময়ে তাঁরা হাটেবাজারে এক্সপ্রেসের ধাক্কায় দু’দিকে ছিটকে পড়েন। এক জনের দেহ উদ্ধার হয় চার নম্বর প্ল্যাটফর্মের কাছে। অন্য জনের দেহ দূরপাল্লার ওই ট্রেনের ইঞ্জিনের সামনে বসানো লোহার ব্যারিকেডে (কাউ ক্যাচার) আটকে যায়। ট্রেনটি পেরিয়ে যাওয়ার পরে অন্য জনের খোঁজ শুরু হয়। তখন নৈহাটি স্টেশনে ইঞ্জিনের সামনে কাউ ক্যাচারে দেহ আটকে থাকতে দেখেন রেল পুলিশের আধিকারিকেরা।
মৃত তরুণীদের এক জনের গলায় হেডফোন ছিল বলে অভিযোগ। তবে, রাত পর্যন্ত ওই তরুণীদের পরিচয় জানা যায়নি। রাত ১০টা ২২ মিনিট নাগাদ দেহ উদ্ধারের পরে ট্রেনটি গন্তব্যে রওনা হয়। কী ভাবে দুর্ঘটনা ঘটল, তা বিস্তারিত ভাবে জানার চেষ্টা করছে রেল পুলিশ। এ দিন এই ঘটনায় সোদপুর স্টেশনে ট্রেল চলাচল ব্যাহত হয় বলে জানা গিয়েছে।
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)