Advertisement
E-Paper

মারধর করে ছিনতাই, ধৃত দুই তৃণমূল কর্মী

তদন্তে নেমে দু’জনকে গ্রেফতার করেছে নিউ ব্যারাকপুর থানার পুলিশ। ধৃতদের নাম শাওন হালদার ও সুগত বিশ্বাস। স্থানীয় সূত্রের খবর, দু’জনেই এলাকায় তৃণমূল কর্মী হিসাবে পরিচিত।

স্থানীয় সূত্রের খবর, ধৃত দু’জনেই এলাকায় তৃণমূল কর্মী হিসাবে পরিচিত।

স্থানীয় সূত্রের খবর, ধৃত দু’জনেই এলাকায় তৃণমূল কর্মী হিসাবে পরিচিত। —প্রতীকী চিত্র।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০৯ মার্চ ২০২৫ ০৯:২৪
Share
Save

নিউ ব্যারাকপুর থানা এলাকায় পুলিশ পরিচয় দিয়ে মাছ ও আনাজ ব্যবসায়ীদের মারধর করে মাছ, টাকা ছিনতাইয়ের ঘটনায় শুক্রবার দুই তৃণমূল কর্মীর নাম জড়িয়েছিল। আক্রান্ত ব্যবসায়ীদের দাবি, সিসি ক্যামেরার ফুটেজ দেখে তাঁরা অভিযুক্ত দু’জনকে চিহ্নিত করেছেন। তদন্তে নেমে ওই দু’জনকে গ্রেফতার করেছে নিউ ব্যারাকপুর থানার পুলিশ। ধৃতদের নাম শাওন হালদার ও সুগত বিশ্বাস। স্থানীয় সূত্রের খবর, দু’জনেই এলাকায় তৃণমূল কর্মী হিসাবে পরিচিত।

শুক্রবার ভোরে নিউ ব্যারাকপুর পুরসভা সংলগ্ন আট নম্বর রেল গেটের কাছে আক্রান্ত হন মাছ ব্যবসায়ী ইমান হোসেন, মফিজুল গাজি ও আনাজ ব্যবসায়ী রাজু রায়। ইমান ও মফিজুলের অভিযোগ, পুলিশের পরিচয় দিয়ে তাঁদের মারধর করে প্রায় ৪০ হাজার টাকার মাছ, সাড়ে ছ’হাজার নগদ টাকা ছিনতাই করা হয়। আনাজ ব্যবসায়ীর অভিযোগ, ভোরে স্কুটারে চেপে আনাজ কিনতে যাওয়ার সময়ে পুলিশ পরিচয় দিয়ে তাঁর রাস্তা আটকায় ওই দু’জন ও মারধর করে টাকা ছিনতাই করে।

মাছ ব্যবসায়ীরা জানান, মাছ নিয়ে সাজিরহাট বাজারে বিক্রি করতে যাওয়ার সময়ে আট নম্বর রেল গেটের কাছে পুলিশ পরিচয় দিয়ে ওই দু’জন মাছের গাড়ি আটকায়। তাঁদের মারধর করে ও মিথ্যা মামলায় ফাঁসানোর ভয় দেখানো হয়। অভিযোগ, তারা প্রায় ৪০ হাজার টাকার মাছ ছিনতাই করে। ওই ব্যবসায়ীরা থানায় অভিযোগ করেন। ঘটনায় পুলিশের ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে। ব্যবসায়ীদের দাবি, অভিযোগ জমা নিতে পুলিশ বিশেষ সহযোগিতা করেনি। যার পরিপ্রেক্ষিতে এক পুলিশকর্তা জানান, অভিযোগ নেওয়ার ক্ষেত্রে গাফিলতির বিষয়টি খতিয়ে দেখে পর্যাপ্ত পদক্ষেপ করা হবে। পুলিশ সূত্রের খবর, দুই আধিকারিককে শো-কজ় করা হয়েছে।

পুলিশ জানায়, সিসি ক্যামেরার ফুটেজ দেখে অভিযুক্তদের চিহ্নিত করা হয়েছে। তাদের কথায় বিস্তর অসঙ্গতি থাকায় গ্রেফতার করা হয়। এ প্রসঙ্গে নিউ ব্যারাকপুর পুরসভার চেয়ারম্যান প্রবীর সাহা বলেন, ‘‘আইন আইনের পথে চলবে।’’

(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)

New Barrackpore police investigation

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:

Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy

{-- Slick slider script --}}