Advertisement
E-Paper

অস্বাভাবিক মৃত্যু স্ত্রীর বাদুড়িয়ায় ধৃত স্বামী

বিয়ের এক বছরের মাথায় অস্বাভাবিক মৃত্যু হল এক মহিলার। তাঁর নাম শাবানা পারভিন (২২)। বাদুড়িয়া থানার পিঙ্গলেশ্বর গ্রামের ঘটনা। এই ঘটনায় মৃতের স্বামী সব্বার আলি বৈদ্যকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। সব্বারের পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের বিরুদ্ধেও অভিযোগ হয়েছে।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০৭ এপ্রিল ২০১৮ ০১:৪৬

বিয়ের এক বছরের মাথায় অস্বাভাবিক মৃত্যু হল এক মহিলার। তাঁর নাম শাবানা পারভিন (২২)। বাদুড়িয়া থানার পিঙ্গলেশ্বর গ্রামের ঘটনা। এই ঘটনায় মৃতের স্বামী সব্বার আলি বৈদ্যকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। সব্বারের পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের বিরুদ্ধেও অভিযোগ হয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে, তারা পলাতক।

পুলিশ জানিয়েছে, বৃহস্পতিবার কীটনাশক খান শাবানা। এদিনই তাঁকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় বারাসতের একটি নার্সিংহোমে ভর্তি করা হয়। রাতে সেখানেই তাঁর মৃত্যু হয়।

শাবানার বাবা আবুবক্কর মণ্ডলের অভিযোগ, তাঁর মেয়ের উপরে মানসিক ও শারীরিক অত্যাচার চালিয়েছিল শ্বশুর বাড়ির লোকেরা। তাঁকে জোর করে বিষ খাইয়ে মারা হয়েছে। সব্বারের বাবা-মা, দাদা-বৌদি, ভাই এবং বোনের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দায়ের হয়েছে। তাদের খোঁজে তল্লাশি শুরু করেছে পুলিশ।

পুলিশের কাছে সব্বার দাবি করেছে, জেদি স্বভাবের মেয়ে ছিলেন শাবানা। সামান্য কারনেই উত্তেজিত হয়ে পড়তেন তিনি। সাংসারিক বচসা সহ্য করতে না পেরে উত্তেজিত হয়ে কীটনাশক খেয়ে আত্মঘাতী হয়েছেন। খুনের অভিযোগ হলেও সব্বার এবং পরিবারের বাকিদের বিরুদ্ধে আত্মহত্যায় প্ররোচনা দেওয়ার মামলা রুজু করে তদন্ত শুরু পুলিশ। তারা জানিয়েছে, ময়না তদন্তের রিপোর্টে মৃত্যুর কারণ স্পষ্ট হবে। তখন মামলায় প্রয়‌োজনমতো ধারা যোগ করা হবে।

স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, এক বছর আগে দেগঙ্গার উত্তর বারুনি গ্রামের শাবানার সঙ্গে বিয়ে হয় সব্বারের। বিয়েতে সব্বারের বাড়ির চাহিদামতো নগদ টাকা, মোটরবাইক-সহ আরও জিনিসপত্র যৌতুক বাবদ দেওয়া হয়। শাবানার বাপের বাড়ির অভিযোগ, তার পরেও আরও টাকা দাবি করে সব্বাররা। তা নিয়ে শুরু হয় স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে অশান্তি শুরু হয়। সব্বারে বাড়ির লোকেরাও শাবানার উপর শারীরিক ও মানসিক অত্যাচার চালাত।

অভিযোগ, অশান্তি সহ্য করতে না পেরে কয়েকবার বাপের বাড়ি চলে গিয়েছিলেন শাবানা। গোলমাল মিটে যাবে মনে করে তাঁকে ফের স্বামীর কাছে ফেরত পাঠান বাপের বাড়ির লোকেরা। গোলমাল মেটাতে একাধিকবার সালিসিও হয়েছিল। কিন্তু, সেখানেও টাকা দাবি করে সব্বাররা।

বাড়িতেই কীটনাশকের দোকান আছে সব্বারের। পুলিশের অনুমান সেখান থেকেই কীনাশক সংগ্রহ করে শাবানা। বৃহস্পতিবার বেলা ১১টা নাগাদ শাবানা কীটনাশক খান বলে জানিয়েছে সব্বার। তার পরেই তাঁকে বারাসতের নার্সিংহোমে ভর্তি করা হয়। রাত ১১টা নাগাদ সেখানেই তাঁর মৃত্যু হয়।

আবুবক্কর জানান, তাঁদের জানানো হয়েছিল, মেয়ে অসুস্থ। কিন্তু তাঁকে কোথায় ভর্তি করা হয়েছে, তা জানানো হয়নি। ফলে বাদুড়িয়া এবং বসিরহাট এবং বারাসত জেলা হাসপাতালে যান তাঁরা। সেখানে মেয়ের শাবানার খোঁজ মেলেনি।

আবুবক্কর বলেন, ‘‘শেষে বারাসাতের একটি নার্সিংহোমে মেয়ের সঙ্গে তাঁর দেখা হয়। আবুবক্কর বলেন, ‘‘মৃত্যুর আগে মেয়ে বলেছিল, ‘ওরা আমাকে মেরে ফেলল বাবা’।’’

Death Wife Husband
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy