পণ্যবাহী গাড়ির বিমার প্রিমিয়াম বৃদ্ধির প্রতিবাদে দেশজুড়ে ধর্মঘটে নেমেছে ট্রাক মালিকদের সংগঠন। এই রাজ্যেও তার প্রভাব পড়েছে। সেই ধর্মঘটের প্রভাব পড়তে শুরু করেছে আনাজ ও মাছ বাজারে। কাকদ্বীপও তার ব্যতিক্রম নয়। এই মহকুমায় এক সপ্তাহ আগেও আনাজ ও মাছের যা দাম ছিল এখন তার দাম বেড়েছে। শুধু আনাজ নয়, ট্রাক পথে না নামায় আসছে না ইমারতি দ্রব্য। ফলে বন্ধ হয়ে গিয়েছে নির্মাণ কাজ।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, কাকদ্বীপ বাজারে এক সপ্তাহ আগেও পটল বিক্রি হয়েছে ২৬ টাকা কেজি দরে। কিন্তু সোমবার সেই পটলই বিকিয়েছে ৩১ টাকা কেজিতে। আলুর দামও বেড়েছে কেজি প্রতি দেড় টাকা থেকে দু’টাকা। কাকদ্বীপের আনাজ বিক্রেতা প্রশান্ত ভাণ্ডারী বলেন, ‘‘ট্রাক না আসায় দাম একটু বেড়েছে। আনাজের বেচাকেনাও কমেছে।’’ আনাজ ব্যবসায়ীদের আশঙ্কা, চলতি সপ্তাহের মধ্যে সমস্যা না মিটলে জিনিসের দাম নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাবে। অন্ধ্রপ্রদেশ থেকে মাছ আসছে না বললেই চলে। কাকদ্বীপের ট্রাক মালিক সংগঠনের নেতা বাবলু মাইতি জানান, তাদের সংগঠনের বেশিরভাগ ট্রাক রাস্তায় নামেনি। বাইরে থেকে যে ট্রাকগুলি নানা সামগ্রী নিয়ে কাকদ্বীপে আসে তার ৮০ শতাংশই ঢুকছে না।
ট্রাক ধর্মঘটের জেরে কাকদ্বীপ মহকুমায় রাস্তা তৈরি-সহ অন্যান্য নির্মাণ কাজও বন্ধ হতে বসেছে। প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, এই মহকুমায় সুন্দরবন উন্নয়ন দফতরের পক্ষ থেকে অনেকগুলি ইটের রাস্তা তৈরির কাজ চলছে। কিন্তু ট্রাক ধর্মঘটের জেরে ইটের আমদানি প্রায় বন্ধ। ফলে রাস্তা তৈরির কাজও বন্ধ।
কাকদ্বীপের ঠিকাদার সংগঠনের নেতা সূর্যকান্ত গিরি বলেন, ‘‘কাকদ্বীপ এবং নামখানায় প্রচুর ইটের রাস্তা তৈরি, শৌচাগার তৈরির বরাত রয়েছে কিন্তু ইটের আমদানি না থাকায় কাজট করতে পারছি না। কবে সমস্যা মিটবে তারও ঠিক নেই।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy