আটক: মাটি-বোঝাই ট্রাক ধরা হল। ছবি: নির্মাল্য প্রামাণিক
বেআইনি ভাবে মাটি কেটে পাচার করা হচ্ছে, সেই মাটি রাস্তায় পড়ে পিচ্ছিল হয়ে প্রায়ই ঘটছে দুর্ঘটনা— এই অভিযোগ তুলে কয়েকটি মাটির গাড়ি আটকে বিক্ষোভ দেখালেন গ্রামবাসীরা। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসেন বিজেপির নেতা-কর্মীরা। বুধবার সকালে ঘটনাটি ঘটেছে গোপালনগর থানার আকাইপুর পঞ্চায়েতের পানপাড়া এলাকায়। পরে পুলিশ গিয়ে গাড়িগুলি আটক করে।
স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, গ্রামের পিচের রাস্তা দিয়ে প্রতিনিয়ত মাটি বোঝাই গাড়ি চলাচল করে। রাস্তায় মাটি পড়ে পিচ খারাপ হচ্ছে। সামান্য ঝড়-জলে রাস্তা কর্দমাক্ত, পিচ্ছিল হয়ে পড়ছে। মাটির গাড়িগুলির কোনও বৈধ নথিপত্র নেই। গাড়িতে নম্বর প্লেটও থাকে না। সেগুলি বেপরোয়া ভাবে চলাচল করে বলে অভিযোগ। অনেক সময়ে নাবালকেরা গাড়ি চালায়। নিরাপত্তার অভাবে ভুগছেন গ্রামবাসীরা।
তাঁদের আরও অভিযোগ, মাটি মাফিয়াদের দৌরাত্ম্যে বেআইনি ভাবে এই কারবার চলছে। কেউ প্রতিবাদ করলে হুমকি দেওয়া হয়। গ্রামের মানুষের দাবি, চামটা বিল, পুকুর, জলাশয়, খেত থেকে বেআইনি ভাবে মাটি কাটা হচ্ছে।
এ দিন ভোরবেলা বৃষ্টি হয়েছিল। ফলে রাস্তা কাদায় ভরে যায়। চাষিরা আনাজ নিয়ে স্থানীয় আকাইপুরে হাটে যাচ্ছিলেন। পিচ্ছিল রাস্তায় অনেকই পড়ে গিয়ে আহত হন। শঙ্কর মজুমদার নামে এক গ্রামবাসী বলেন, ‘‘কাদায় রাস্তা দিয়ে হাঁটাই যাচ্ছে না। আমি ও আমার ভাই পড়ে গিয়ে আহত হয়েছি। প্রতিবাদ জানাতে সকলে মিলে গাড়ি আটকে বিক্ষোভ দেখিয়েছি।’’
আকাইপুর পঞ্চায়েতের বিজেপি সদস্য বিকাশ ঘোষ বলেন, ‘‘এ দিন চাষিরা হাটে আনাজ নিয়ে যেতে অসুবিধার মধ্যে পড়েন। অনেক আহত হন। সকালে গৃহশিক্ষকের কাছে যাওয়ার সময়ে কয়েক জন পড়ুয়াও রাস্তায় পড়ে গিয়ে চোট পেয়েছে।’’
তাঁর অভিযোগ, ‘‘শাসক দল ও পঞ্চায়েতের মদতে এখানে মাটির অবৈধ কারবার চলছে। পুলিশ-প্রশাসনের চোখের সামনে কারবার চললেও কোনও পদক্ষেপ করা হয় না।’’
অভিযোগ অস্বীকার করে আকাইপুর পঞ্চায়েতের প্রধান তৃণমূলের উজ্জ্বলকুমার পাল বলেন, ‘‘এলাকায় বেআইনি ভাবে কোনও মাটি কাটা হয় না। আমরা মাটি কারবারে মদতও দিই না। এ দিন বৃষ্টি হওয়ার রাস্তা কিছুটা পিচ্ছিল হয়ে গিয়েছিল। বিজেপির লোকজন গ্রামবাসীদের প্ররোচিত করছে।’’
পুলিশ জানিয়েছে, এ দিন কয়েকটি মাটির গাড়ি আটক করা হয়েছে। গ্রামবাসীদের বলা হয়েছে, লিখিত অভিযোগ করতে। তার ভিত্তিতে পদক্ষেপ করা হবে। গাড়ির চালকদের খোঁজ করছে পুলিশ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy