সাগরের চকফুলডুবি এলাকায় নদীবাঁধে ধস। ছবি: সমরেশ মণ্ডল
নদীবাঁধে আচমকা ধস নামল, পাশাপাশি একাধিক জায়গায় বড় বড় ফাটলও ধরেছে। এই পরিস্থিতিতে আতঙ্কে কাকদ্বীপের সাতের ঘেরি এবং সাগরদ্বীপের চকফুলডুবি এলাকার বাসিন্দারা।
মঙ্গলবার বিকেলে মুড়িগঙ্গা নদীর বাঁধে প্রায় ২০ ফুট অংশে ধস নামে। রাতে ফের প্রায় ৩০ ফুট অংশ ধসে যায়। বুধবার সকালে জোয়ারের সময়ে এলাকাবাসী বাঁধের উপরে ভিড় জমান। এ ছাড়াও ধস নামা বাঁধের লাগোয়া একাধিক জায়গায় বড় বড় ফাটল দেখতে পান তাঁরা।
সাগরের চকফুলডুবি এলাকায় প্রায় ৪০০ মিটার নদীবাঁধেও বড়সড় ধস নেমেছে। ফাটলও দেখা দিয়েছে। বুধবার সকাল থেকে আতঙ্কিত বাসিন্দারা নদীবাঁধের উপরে ভিড় করেন। বুধবার থেকে অমাবস্যার কটাল। তার উপরে দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ার জেরে ঝোড়ো বাতাস বইছে। বিক্ষিপ্ত ভাবে হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টিও হচ্ছে।
এই পরিস্থিতিতে নদীর জল বাড়লে বিপদের আশঙ্কায় আছেন উপকূল এলাকার মানুষ। সাগর ব্লকের মুড়িগঙ্গা ২ পঞ্চায়েতের প্রধান এবং পঞ্চায়েত সমিতির প্রতিনিধিরা নদীবাঁধ পরিদর্শন করেছেন।
এলাকার স্থানীয় বাসিন্দা অজয় দাস বলেন, ‘‘পূর্ণিমা-অমাবস্যার কটাল এলেই আতঙ্কে থাকতে হয়। কখন বুঝি বাঁধ ভেঙে এলাকায় জল ঢুকে যায়। পুরনো কংক্রিটের বাঁধেও ধস নামছে।’’
পঞ্চায়েত প্রধান গোবিন্দ মণ্ডল বলেন, ‘‘ব্লক প্রশাসন ও সেচ দফতরকে নদীবাঁধ দ্রুত মেরামতি করার বিষয়টি জানানো হয়েছে।’’ কাকদ্বীপের মহকুমাশাসক মধুসূদন মণ্ডল বলেন, ‘‘দ্রুত বাঁধ মেরামতির কাজ শুরু করার জন্য সেচ দফতরকে জানানো হয়েছে। অন্যান্য এলাকার দুর্বল নদীবাঁধগুলির উপরেও প্রশাসন নজর রাখছে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy